শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
অ্যাডভোকেট আলিফের কবর জিয়ারত ও পরিবারের পাশে হেফাজতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ  প্রাইমারি স্কুলে আলেম ধর্মীয় শিক্ষক বাধ্যতামূলক করতে হবে: মাওলানা ইসলামাবাদী বগুড়ায় ছাত্র আন্দোলনে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা শেরপুরে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে স্মরণসভা শেরপুরে শেখ হাসিনাসহ ৫৯ জনের নামে মামলা কাল বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন জামায়াত আমীর হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ল ১৫ দিন রাষ্ট্রদ্রোহী সংগঠন চলতে দেয়া হবে না: মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী ২২৫০০ কোটি নতুন টাকা ছাপিয়ে ৬ ব্যাংককে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

দেশের ১৪ শতাংশ হাসপাতাল কখনোই নিবন্ধন করেনি: আইসিডিডিআরবি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: দেশে শতকরা ১৪ হাসপাতাল কখনো নিবন্ধন করেনি। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

আজ মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে দিকে আইসিডিডিআর’বি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গবেষণা উপাত্ত তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানের ম্যাটার্নাল অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ ডিভিশনের জ্যেষ্ঠ পরিচালক ডা. শামস এল আরেফিন।

সংস্থাটি বলছে, দেশে এমন কিছু সংখ্যক বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে যারা নিবন্ধনের জন্য কখনোই আবেদন করেনি, শতকরা হিসেবে তা প্রায় ১৪ শতাংশ। এমনকি যারা কোন এক সময় নিবন্ধনের আওতায় এসেছিল, তাদের মধ্যেও বড় একটি সংখ্যার লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ২০১৯-২০ সালে এই গবেষণা পরিচালনা করা হয়। তবে, এই সময়ে এসে সেই পরিস্থিতি পরিবর্তনও হতে পারে বলে জানিয়েছে আইসিডিডিআরবি।

ডা. শামস এল আরেফিন বলেন, দেশে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। বিভিন্ন সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নিয়ন্ত্রণে আনতে অভিযান পরিচালনা করেছে। এবিষয়টি দেখতে ইউএস-এইডের সহায়তায় আমরা ১২ সিটি করপোরেশনের ১০টি জেলার ২৯টি উপজেলায় একটি গবেষণা জরিপ পরিচালনা করি। এতে স্থানীয় সিভিল সার্জনসহ কিছু বেসরকারি হাসপাতাল সহায়তা করে।

তিনি বলেন, গবেষণাটি করতে গিয়ে ১১৮৯টি বেসরকারি হাসপাতালকে অ্যাসেসমেন্টের (মূল্যায়ন) জন্য সহযোগিতা চাওয়া হয়, কিন্তু তাদের মধ্যে ৪০টি হাসপাতালই সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানায়। সবশেষে ১১১৭টিতে অ্যাসেসমেন্ট করা হয়।

শামস এল আরেফিন বলেন, জরিপ করা ১১১৭টি বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে ৯৫৬টি হাসপাতাল কোনো এক সময় নিবন্ধনের আওতায় এসেছিল, শতকরা হিসাবে যা প্রায় ৮৬ শতাংশ। আর বাকি ১৬১টি বেসরকারি হাসপাতাল কখনোই নিবন্ধন করেনি, যা শতাংশ হিসাবে ১৪ শতাংশ।

তিনি আরও বলেন, কোনো এক সময় নিবন্ধনের আওতায় আসা ৯৫৬টি বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে ৮৮৬টির (৭৯ শতাংশ) লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল, ৬৬টি হাসপাতালের (৬ শতাংশ) বৈধ লাইসেন্স ছিল এবং বাকি ৪টি হাসপাতাল (দশমিক ৫ শতাংশ) এবিষয়ে কোনো তথ্য জানায়নি।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৮০ সাল থেকে দেশে বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রমের অগ্রগতি শুরু হয়। অগ্রগতিটা সবচেয়ে বেশি হয় ২০০৭ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত। বর্তমানে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ স্বাস্থ্য সেবার জন্য নির্ভর করে বেসরকারি হাসপাতালের ওপর। বেসরকারি হাসপাতালের ওপর মানুষের এই নির্ভরশীলতার কারণ হলো সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা, পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ নানা সংকট।

আরও বলা হয়, ১৯৮২ সালের আইন অনুযায়ী বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে স্বাস্থ্যসেবার ৭টি শর্ত/নিয়ম মানতে হয়। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, এসব শর্ত পূরণ করে স্বাস্থ্য সেবা দিতে গেলে নানা বাঁধার মুখে পড়তে হয়, যেকারণে কোয়ালিটি স্বাস্থ্য সেবা দিতে সমস্যা হয়।

-এসআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ