আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ভোজ্যতেল, ডাল, চিনি ও পেঁয়াজের সঙ্গে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ফ্যামেলি কার্ডে মিলবে ১০ কেজি চাল। এছাড়া এক সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশের ২ হাজার ৩৬৩টি কেন্দ্রের ওএমএস ডিলারদের মাধ্যমে প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে চাল বিক্রি শুরু হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব-১ এমএম ইমরুল কায়েস।
তিনি বলেন, ওএমএস কার্যক্রম ৮১১টি কেন্দ্র থেকে সম্প্রসারিত করে ২ হাজার ৩৬৩টি করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রের ডিলারদের মাধ্যমে ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু হবে। সম্প্রতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন, টিসিবি কার্ডধারীরা ওএমএস-এর মতো ন্যায্য মূল্যে ১০ কোজি চাল পাবেন। তাই কার্ডধারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাল দেওয়া হবে। পাশাপাশি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় সারা দেশে ইউনিয়ন পর্যায়ের ৫০ লাখ ১০ হাজার ৫০৯টি প্রান্তিক পরিবারকে প্রতি কেজি ১৫ টাকা দরে প্রতিমাসে ৩০ কেজি দরে চাল দেওয়া হবে।
কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, বাজারে চালের দাম হুহু করে বাড়ছে। এক কেজি মোটা চাল কিনতে ক্রেতাকে প্রায় ৬০ টাকা গুণতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে চাল দেয়া নিঃসন্দেহে ভালো উদ্যোগ।
টিসিবি সূত্র জানায়, দেশব্যাপী কার্ডধারী এক কোটি পরিবারের কাছে টিসিবির পণ্যসামগ্রী ভর্তুকি মূল্যে বিক্রয় কার্যক্রম চলছে। স্থানীয় ডিলারের কাছ থেকে একজন ক্রেতা প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১১০ টাকা দরে দুই লিটার কিনতে পরছে। পাশাপাশি প্রতি কেজি মসুর ডাল ৬৫ টাকা দরে দুই কেজি, চিনি ৫৫ টাকা দরে দুই কেজি ও প্রতিকেজি পেঁয়াজ ২০ টাকা দরে পাঁচ কেজি কিনতে পারছেন। চাল বিক্রি শুরু হলে ১০ কেজি চাল কিনতে পারবেন।
টিসিবির মুখপাত্র বলেন, এই চাল টিসিবির ডিলারদের মাধ্যমে বিক্রি হবে না। কারণ, চাল খাদ্য অধিদপ্তরের ওএমএস কার্যক্রমের আওতায় বিক্রি হয়। তাই টিসিবির কার্ডধারীকে চাল কিনতে ওএমএস ডিলারদের কাছে যেতে হবে। ওএমএস ডিলাররাই চাল বিক্রি করবে।
-এসআর