আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: সরকার মানুষের পেটে তিনবার লাথি মেরেছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের।
তিনি বলেছেন, রিজার্ভ সংকটের ফলে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন করে, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বেশি মূল্যে আমদানি করে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে, তেলের দাম বাড়িয়ে- এভাবে তিনবার মানুষের পেটে লাথি মারা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।
আজ শুক্রবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে বাংলাদেশ সনাতন পার্টির (বিএসপি) আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
জি এম কাদের বলেন, দেশে ত্রিভুজ নীতি চলছে। রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যবসার নামে আমলাদের সহযোগিতায় লুণ্ঠনের রাজত্ব কায়েম হয়েছে দেশে। দুর্নীতির কারণে ভালো উদ্যোগ সফল হচ্ছে না। দলীয় লোক, যাদের টাকা-পয়সা আছে তাদের লিস্ট করে টিসিবির কার্ড দেওয়া হচ্ছে। যাদের পাওয়া দরকার তারা পাচ্ছে না। দেশের জনগণ এগুলো থেকে মুক্তি চায়।
তিনি বলেন, দেশ আল্লাহর ওয়াস্তে চলছে। কোনো সরকার আছে বলে মনে হচ্ছে না। সব সেক্টরে দুর্নীতি হচ্ছে। বিদ্যুৎ-জ্বালানি এ দুই সেক্টর হচ্ছে দুর্নীতির আখড়া। আমি ওয়েল সেক্টরে চাকরি করেছিলাম। অয়েল সেক্টরে দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতা আছে আমার। অনেক পরিচিত লোক থাকায় আমি দুর্নীতির অনেক খবর পাই।
তিনি বলেন, এক গবেষণা প্রতিষ্ঠান তাদের প্রতিবেদনে লিখেছিল, বছরে বাংলাদেশ এক বিলিয়ন ডলার জ্বালানি খাতে গচ্ছা দিচ্ছে। এ খাতে ব্যাপক হারে দুর্নীতি হচ্ছে। যে পরিমাণে দাম বাড়ানো হয়েছে জ্বালানি তেলের, সেখানে ট্যাক্স একটু কম নিলেই হতো। এরশাদ সাহেব জ্বালানিতে কোনো ট্যাক্স নিতেন না। একইসঙ্গে জ্বালানিতে তারা যে প্রফিট করেছে, তখন যদি সেই প্রফিট কাজে লাগানো যেত তাহলে জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ানোর প্রয়োজন হত না।
সেচের জন্য পানি না দিতে পারলে খাদ্য সংকট হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকা এবং গ্রাম-গঞ্জ থেকে জানতে পারছি সেখানে ৮-১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। সামনের দিনে সেচের জন্য কী হবে আমার তা জানা নেই। বিদ্যুতের অভাবে সেচের জন্য পানি না দিতে পারলে খাদ্য উৎপাদন কম হবে।
-এসআর