আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ইসরায়েলের একজন সাংবাদিক পবিত্র মক্কা শহর এবং মসজিদুল হারামে ঘুরে বেড়িয়েছেন এবং এ নিয়ে রিপোর্ট করেছেন। এতে চটেছে মুসলিম বিশ্ব। এমন আবহে ইসরায়েলের একজন মন্ত্রী ওই সফরের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এটি ‘মূর্খতা এবং ক্ষতিকারক’ ছিল।
ইসরায়েলের চ্যানেল-১৩ নিউজের একজন সাংবাদিক গিল তামারি সৌদি আরব থেকে ১০ মিনিটের একটি প্রতিবেদন প্রচার করেছেন। সেখানে দেখা যায়, তিনি মক্কার পবিত্র মসজিদের কাছে একটি গাড়িতে ভ্রমণ এবং আরাফাতের পাহাড়ে আরোহণ করছেন। এটি আরাফাতের সেই স্থান হিসেবে সম্মানিত যেখানে মহানবি হযরত মোহাম্মদ সা. ১৪০০ বছর আগে তার শেষ খুতবা দিয়েছিলেন।
ওই সময় তামারির সঙ্গে একজন স্থানীয় গাইডকে দেখা যায়। তবে পরিচয় লুকানোর তার চেহারা ঝাপসা করে দেয়া হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, ক্যামেরা খুব নিচু স্বরে হিব্রু ভাষায় কথা বলছেন। আবার তিনি ইসরায়েলি সেটি যেন প্রকাশ না পায় তাই মাঝে মাঝে ইংরেজিও বলছেন।
এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ইসরায়েলের আঞ্চলিক সহযোগিতা মন্ত্রী এসাউই ফ্রেইজ। ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার মুসলিম এই মন্ত্রী দেশটির সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম কান’কে বলেন, আমি দুঃখিত কিন্তু এটি করা এবং তা নিয়ে গর্ব করা একটি বোকামি ছিল। শুধু রেটিংয়ের খাতিরে এই প্রতিবেদনটি প্রচার করা দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং ক্ষতিকর ছিল।
ফ্রেইজ বলেন, সাংবাদিক গিল তামারির প্রতিবেদনটি কূটনৈতিক চুক্তির আওতায় ধীরে ধীরে ইসরায়েল এবং সৌদি আরবের সাথে সম্পর্ক আরও স্বাভাবিকের যে মার্কিন প্রচেষ্টা রয়েছে, সেটিকে আঘাত করেছে। ২০২০ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইনের সাথেও একই ধরনের চুক্তি হয় ইসরায়েলের।
এদিকে এ ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার পর ইসরায়েলি টিভি এবং ওই সাংবাদিক ক্ষমা চেয়েছেন। তবে মুখে কুলুপ এঁটেছেন সৌদি কর্মকর্তারা। এমনকি এ সংক্রান্ত কোনো নিউজও প্রকাশ করেনি সৌদির মিডিয়া।
গত শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সফরের সংবাদ কাভার করতে জেদ্দায় যান তামারি। তবে মক্কায় তিনি কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করেছিলেন কিনা সেটি পরিষ্কার নয়। যদিও পরে তিনি এই ঘটনায় ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেছেন, মুসলমানদের অনুভূতিতে আঘাতের কোনও উদ্দেশ্য তার ছিল না।
টুইটারে তিনি লিখেছেন, কেউ যদি এই ভিডিওতে আঘাত পেয়ে থাকেন তাহলে আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। এই পুরো প্রচেষ্টার উদ্দেশ্য ছিল মক্কার গুরুত্ব এবং ধর্মের সৌন্দর্য তুলে ধরা।
-এটি