ঢাকায় অবস্থানরত সিলেটের ঐতিহ্যবাহী দীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জামিয়া হোসাইনিয়া গহরপুরের ফাজেল এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের আয়োজনে ‘মাহফিলে নূর’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর তোপখানা রোডে শিশুকল্যাণ একাডেমিতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জামিয়ার মুহতামিম, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সহ-সভাপতি হাফিজ মাওলানা মুসলেহ উদ্দীন আহমদ গহরপুরী।
জামিয়ার ফাজিল মাওলানা আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামিয়ার নাজিমে তালিমাত মুফতি আনোয়ার হোসাইন শরীয়তপুরী, জামিয়ার সহকারী মুফতি মাওলানা মুহিউস সুন্নাহ ও বেফাকের প্রকাশনা বিভাগের প্রধান মাওলানা নাইম উদ্দীন।
মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা জাকারিয়া মাহমুদ ও মাওলানা ইলিয়াছ আহমদের পরিচালনায় বর্ণাঢ্য এই আয়োজনে জামিয়ার নবীন-প্রবীণ ফুজালা ও প্রাক্তন ছাত্রবৃন্দ। প্রত্যেকেই জামিয়ার প্রতি সর্বোচ্চ ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন।
আগামী দিনে সম্মিলিতভাবে কীভাবে এগিয়ে যাওয়া যায় সে ব্যাপারে ফুজালা ও প্রাক্তনদের পক্ষ থেকে বেশ কিছু প্রস্তাবনা পেশ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে, আগামী বছর রাজধানীতে আল্লামা নূরউদ্দীন আহমদ গহরপুরী রহ.-এর জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা। এছাড়া দশ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটিও ঘোষণা করা হয়।
মাওলানা মুসলেহ উদ্দীন আহমদ গহরপুরী জামিয়ার ফাজিল ও প্রাক্তন ছাত্রদের এই আয়োজনের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান এবং জামিয়া গহরপুর থেকে প্রাপ্ত দীক্ষা অনুযায়ী নানা অঙ্গনে এগিয়ে যাওয়ার তাগিদ দেন।
সাবেক শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির হাতে ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া প্রধান অতিথি প্রত্যেকের হাতে আল্লামা গহরপুরী রহ.-এর জীবনীগ্রন্থ তুলে দেন।
প্রসঙ্গত, শায়খুল হাদিস আল্লামা নূরউদ্দীন আহমদ গহরপুরী রহ. ছিলেন দেশের শীর্ষ আলেম। কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের প্রায় নয় বছরের সভাপতি ছিলেন তিনি। সিলেটের ঐতিহ্যবাহী জামিয়া গহরপুরের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। তাঁর নামের সঙ্গে মিল রেখে ‘মাহফিলে নূর’ নামকরণ করা হয় এই অনুষ্ঠানের।
হাআমা/