আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বর্তমান নির্বাচন কমিশনারের তলোয়ার ও রাইফেল নিয়ে বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয় মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন ,প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল একটা নির্বোধ, পাঠা , এর বুদ্ধিশুদ্ধি একদম কিছুই নেই। আগের সিইসি নুরুল হুদা ছিলো একটা ছাগল ।
আজ সোমবার (১৮ জুলাই) কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারস ইনস্টিটিউশনে ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির ১৯ ও ২১ নং ওয়ার্ডের সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
জ্বালানি তেলের লোকসান কমাতে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরুর ঘোষণা প্রসঙ্গে মির্জা আব্বাস বলেন, বিদ্যুৎ ও লোডশেডিং এর জন্য সরকারের লুটপাট দায়ী। কারণ বিদ্যুৎ উৎপাদন হউক আর না হউক কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্টের মালিকরা টাকা পাবে। এই লোডশেডিং সরকার পতনের কারণ হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, সামনে সময় আসছে বিএনপি আর কোনো মিটিংয়ের জন্য অনুমতি চাইবে না। ঘর থেকে মিছিল নিয়ে রাজপথে চলে আসবো। সমস্ত মিছিল যে কোনো একটি চৌরাস্তায় মিলিত হবে। একসাথে মিছিল নিয়ে বঙ্গভবন কিংবা সচিবালয় ঘেরাও করা হবে। সময় আসতেছে। গুলি করবেন? অনেকগুলি কিনেছেন।
তিনি বলেন, তলোয়ার কে আনবে এবং রাইফেল নিবেকে এটা সিইসিকে ঠিক করতে হবে। ক্ষণিকের রেফারির ভূমিকা পালন করবেন সেটাও তো পারবেন না।
নির্বাচন কমিশন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একজন এমপিকে বের করতে পারেননি। সত্যিকারের ভোটে নির্বাচিত হলে একজন ভদ্রলোক এমপি হতো। এ ধরনের ডাকাতদের সাধারণ মানুষ ভোট দেয় না। উনি তো একজন ডাকাত ৩০০ শত ডাকাতের মধ্যে একজন। একজন ডাকাতকে উনি বের করতে পারেন না, তিন শত ডাকাতের সাথে লড়বেন কিভাবে আমি তো বুঝি না।
সরকার ডলার পাচার করে, তাই এখন ডলার সংকট বলে মন্তব্য করেন সাবেক এই মন্ত্রী।
নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্য করে মির্জা আব্বাস বলেন, ১৯৭৭ সাল থেকে রাজনীতি করি তখন অনেকের জন্ম হয়নি। ঘরে বসে কেউ নেতা হওয়ার স্বপ্ন দেখবেন না।
এ সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
-এটি