আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বোতলের গায়ে লেখা আগের দামের চেয়ে খানিকটা কমে মিললেও দেশের বেশিরভাগ বাজারে সরকার নির্ধারিত নতুন দামে মিলছে না ভোজ্যতেল।
বিক্রেতাদের অজুহাত, মিল গেটে থেকে এখনো নতুন দরের তেল সরবরাহ করা হয়নি। আর ডিলাররা বলছেন, দু’একদিনের মধ্যে কম দামের নতুন তেল বাজারে পাওয়া যাবে। ক্রেতাদের অভিযোগ, যতটা তাড়াতাড়ি দাম বৃদ্ধি পায়, কমানো ক্ষেত্রে নানা অজুহাত দেখাচ্ছেন বিক্রেতারা।
বিশ্ব বাজারে গত সাত দিনে সয়াবিন এবং পাম তেলের দাম কমেছে ৩২ শতাংশের বেশি। এর প্রেক্ষিতে রোববার (১৭ জুলাই) ভোজ্যতেল আমদানিকারক, উৎপাদনকারী এবং বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের যৌথ সভায়, দেশের বাজারে ১০ শতাংশ কমিয়ে নতুর দরে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
রাজধানীর বড় বাজারগুলোতে আজ খানিকটা কম দামে পাওয়া গেলেও, নতুন দরের সয়াবিন তেল মিলছে না। ক্রেতাদের অভিযোগ, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধি পেলে, সাথে সাথে স্থানীয় বাজারে দাম বেড়ে যায়। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে তার সুফল সহজে মেলে না।
যৌথ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সয়াবিন লিটার প্রতি ১৪ টাকা কমিয়ে ১৮৫ টাকা, ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয় ৯১০ টাকা। পামতেলের দামও ছয় টাকা কমিয়ে ১৪৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, নতুন দরের তেল এখনও ডিলার পর্যায় থেকে সরবারহ করা হয়নি। তবে বোতলের গায়ে লেখা আগের দরের চেয়ে কিছুটা কম দামে সরবারহ করছেন ডিলাররা।
মিলগেট থেকে এখনো নতুন দরের সয়াবিন ও পাম তেল সরবরাহ করা হয়নি। তবে দু’একদিনের মধ্যে নতুন দামের তেল বাজারে আসার সম্ভাবনা আছে। তাই লোকসানের আশঙ্কায় মজুদ করা তেল কিছুটা কম দামের সরবরাহ করা হচ্ছে বলেও জানান ডিলাররা।
-এটি