আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৯০০ জন। একই সময় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ১২ শতাংশ।
রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১১ দশমিক ১২ শতাংশ। আজ আরো ৪ জনের মৃত্যু নিয়ে মোট মৃত্যু দাঁড়াল ২৯ হাজার ২৩৪ জনে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, দেশে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৯৬ হাজার ৩৪০ জনে। ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯৮৩ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ২৪ হাজার ৯৬০ জন। ২৪ ঘণ্টায় ৮৮০টি ল্যাবে ৮ হাজার ৯১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
সংক্রমণ কমার ধারায় গত ৫ মে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা নেমেছিল ৪ জনে। তবে গত ২২ মের পর থেকে টানা এক মাসের বেশি সময় ধরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আবারো বাড়ছে।
এর ফলে সারা দেশে দোকান, শপিংমল, বাজার, ক্রেতা-বিক্রেতা, হোটেল রেস্টুরেন্টে সবাইকে আবারো বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরাসহ ছয়টি নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। গত ২৮ জুন এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়।
দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
গত বছরের ডিসেম্বরের শেষে বিশ্বে ছড়াতে শুরু করে করোনার অতি সংক্রামক নতুন ধরন ওমিক্রন। তখন দেশে রোগী শনাক্তের হার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুও বাড়তে থাকে।
এ বছর ফেব্রুয়ারি থেকে আবার নামতে শুরু করে করোনা রোগীর সংখ্যা। যদিও জানুয়ারির শেষ দিকে শনাক্তের হার কিছুটা কমে ৩০ শতাংশের নিচে নামে। ওমিক্রন আতঙ্ক কিছুটা কাটিয়ে দেশে কয়েক দিন ধরে শনাক্তের সংখ্যা কমতে শুরু করে।
এর আগে, ওমিক্রন আতঙ্কের শুরুর দিকে দেশে কয়েক সপ্তাহ ধরে শনাক্তের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছিল। তাই সংক্রমণ ঠেকাতে বেশকিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল সরকার। তবে ধীরে ধীরে সেসব বিধিনিষেধ তুলে নেয় সরকার।
গত বছরের মাঝামাঝি করোনার ডেল্টা ধরনের দাপটে দেশে করোনায় মৃত্যু, রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার অনেক বেড়ে গিয়েছিল। তবে আগস্টে দেশব্যাপী করোনার গণটিকা দেয়ার পর সংক্রমণ কমতে থাকে।
-এটি