শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
জুমার খুতবার আগে ব্রেন স্ট্রোক, রাতে ইন্তেকাল তরুণ ইমামের জামিয়া গহরপুরের ফুজালা ও প্রাক্তনদের আয়োজনে ‘মাহফিলে নূর’ সম্প্রীতির বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক সকল অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে: ছাত্র জমিয়ত চিন্ময়ের মুক্তি চাওয়া বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের উলম্ব অভিযান: রিজভী মতিঝিল থানা হেফাজতে ইসলামের কমিটি গঠন এডভোকেট হত্যার বিচার ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে চাঁদপুর পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ‘সংবিধানে কুরআন-সুন্নাহর সাথে সাংঘর্ষিক কোন কিছু রাখা যাবে না’ চাঁদপুর জেলা সিরাত সম্মেলন আগামীকাল, থাকছেন হেফাজত আমীর চট্টগ্রামে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে হেফাজতের বিক্ষোভ-সমাবেশে জনস্রোত মৌলভীবাজারে আইনজীবী হত্যা ও ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

বাড়িতে পুলিশ দেখে আসামির মৃত্যু

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ে বাড়িতে পুলিশ দেখে নুরুল কবির লেদু (৫৬) নামের পরোয়ানাভুক্ত এক আসামির মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (১৭ জুলাই) দিনগত রাত পৌনে ৩টার দিকে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

লেদু উপজেলার ইসলামাবাদ ইউছুপের খীল এলাকা খীল এলাকার মৃত সুলতান আহমদের বড় ছেলে। হৃদরোগের কারণে গত ঈদুল ফিতরের পর প্রবাস থেকে দেশে ফিরে তিনি এলাকায় ব্যবসা করতেন।

ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হালিম বলেন, ২০১৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি মারামারির ঘটনায় কক্সবাজার সদর থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলার এজাহারভুক্ত চার নম্বর আসামি নুরুল কবির লেদু। ওই মামলায় তিনি দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। খবর পেয়ে রোববার ভোরে লেদুকে গ্রেফতার করতে তার বাড়ি যায় পুলিশ।

ওসি আরও বলেন, বাড়িতে পুলিশের উপস্থিতি ও তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানার কথা শুনে লেদুর বুক ব্যথা বেড়ে যায়। এ সময় পরিবারের সদস্যরা আসামির বুকে ব্যথাজনিত অসুস্থতার কথা পুলিশকে জানায়।

পরে আসামির বড় ছেলে শরীফসহ পুলিশের গাড়িতে তাকে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার দিনগত রাত পৌনে ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

মৃতের ছেলে মুহাম্মদ শরীফুজ্জামান বলেন, ‘এলাকার একটি মারামারির মামলায় বাবাও আসামি হন। কিন্তু পরে স্থানীয়ভাবে বসে মামলা নিষ্পত্তি হয়।

বাবাও প্রবাসে চলে যান। তবে এ নিষ্পত্তিনামা আদালতে না দেওয়ায় মামলা চলমান থেকে যায়। এর ভেতর বাবা পলাতক হিসেবে ওয়ারেন্ট হয়। এসব আমাদের জানা ছিল না। সেই মামলায় পুলিশ বাবাকে গ্রেফতার করতে গেছে জানার পর বুকে ব্যথা জনিত অসুস্থতা অনুভব করেন। পরে পুলিশের গাড়িযোগে হাসপাতালে নেওয়ার পর বাবার মৃত্যু হয়।’

শরীফের মতে, বাবা হার্টের রোগী হওয়ায় প্রবাস থেকে ফিরে এসেছেন। এটি নিছক একটি দুর্ঘটনা। পুলিশের বিরুদ্ধে আমাদের কোনো অভিযোগ নেই। ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ দাফনের অনুমতি চেয়ে এডিএম বরাবর আবেদন জানানো হয়েছে। অনুমতি পেলে মরদেহ বাড়ি নেওয়া হবে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ