আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বাজারে নিউজপ্রিন্টের মৃল্যবৃদ্ধি, পরিবহন খরচসহ আনুষঙ্গিক ব্যয় বৃদ্ধির কারণে দেখিয়ে কয়েকটি দৈনিক পত্রিকার দাম বাড়ানো হয়েছে।
শনিবার (১৭ জুলাই) থেকে জাতীয় দৈনিক আমাদের সময়, বাংলাদেশ প্রতিদিন ও আজকের পত্রিকার দাম ৭ টাকা করা হয়েছে। এই পত্রিকাগুলো এতদিন ৫ টাকা করে বিক্রি হত। এছাড়া সম্প্রতি দেশ রূপান্তর পত্রিকার দামও বাড়িয়ে ৭ টাকা করা হয়েছে।
দাম বাড়ানোর যুক্তি প্রসঙ্গে পত্রিকা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোভিডপরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রম শুরুর মুহূর্তে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বড় ধরনের বাধা হিসেবে আবির্ভূত হয়।
এ যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলে। করোনা ও যুদ্ধের মিলিত প্রভাবে বিশ্বের নিউজপ্রিন্টের উৎপাদনে ধস নামে। গত এক বছরেই নিউজপ্রিন্টের দাম বেড়েছে শতভাগেরও বেশি। নিউজপ্রিন্টের পাশাপাশি ২০ থেকে ৩০ শতাংশ হারে বেড়েছে সংবাদপত্র শিল্পের অন্যান্য উপকরণ যেমন- কালি, প্লেট ইত্যাদির দাম। এর ফলে সংবাদপত্রের উৎপাদন ব্যয় অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। এসব কারণে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে মূল্য সমন্বয় করে এই পত্রিকাগুলো দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে।
দাম বাড়ানোর বিষয়ে পত্রিকাগুলো আগে থেকে নিউজ ও সার্কুলার দিয়ে তাদের পাঠকদের অবগত করেছে।
আজকের পত্রিকা দাম বাড়ানোর প্রসঙ্গে বলেছে, বর্তমান বাজারে সবকিছুর দাম বেড়েছে। ছাপা পত্রিকার অনুষঙ্গ নিউজপ্রিন্টের গত এক বছরে বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। বেড়েছে ছাপার খরচ, পরিবহন সংশ্লিষ্ট সবকিছুর ব্যয়। নিরূপায় হয়ে পত্রিকার দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছি।
এর আগে সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নোয়াব বাজেট ঘোষণার আগে সংবাদপত্রের বিদ্যমান সংকট মোকাবিলায় বিভিন্ন ধরনের আরোপিত কর প্রত্যাহার বা কমানোর দাবি জানায়। কিন্তু বাজেটে এ বিষয়ে কোন সুখবর আসেনি। সংবাদপত্রের ওপর আরোপিত কর এখন ৩০ শতাংশ।
বাংলাদেশে জাতীয় দৈনিকগুলো ৫ টাকা থেকে ১২ টাকার মধ্যে বিক্রি করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে বিজনেস স্ট্যান্ডর্ড ১৫ টাকা করে বিক্রি হয়। সম্প্রতি ডেইলি স্টারও ১৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
-এটি