আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: দ্বিতল পদ্মা সেতুর উপরে সড়ক পথের পর এখন বাকি নিচতলার রেলপথে কাজ। সেতু হয়ে রেল যাবে ঢাকা থেকে দক্ষিণবঙ্গে।
সড়কপথের কাজ শেষ হওয়ায় এবার রেলপথ স্থাপনের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। রোববার (১৭ জুলাই) সেতুতে দেয়া হয়েছে কাজের অনুমতি।
রোববার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মুন্সিগঞ্জের মাওয়া থেকে শরীয়তপুরের জজিরা পর্যন্ত পুরো সেতুর রেলপথের অংশ পরিদর্শন করে সেতু ও রেলকর্তৃপক্ষের যৌথ পরিদর্শক দল।
এসময় সেতু ভাইব্রেশনের মাত্রা, রেলপথের অবস্থাসহ বিভিন্ন বিষয় পর্যবেক্ষণ করে পরিদর্শক দল। পরে জাজিরা প্রান্তে পৌঁছে কাজের অনুমতি ও শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন তারা।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের জানান, যৌথ টিম সেতু পরিদর্শন করেছে। গত ৬ জুলাই আমাদের প্রকল্প পরিচালক চিঠি দিয়েছিলের। ১৬ তারিখ আমরা সভা করবো, ১৭ তারিখ হস্তান্তর।
আমরা আজকে থেকে (রোববার) রেল কর্তৃপক্ষকে কাজের জন্য অনুমতি দিয়েছি। পুরো সেতুই সেতু কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে থাকবে, শুধুমাত্র রেলট্র্যাকটি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের আওতায় থাকবে বলে জানান তিনি।
রেলপথের কংক্রিটিং কাজের জন্য সড়ক পথে যানচলাচল ব্যহত হবে না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সেতুতে ভাইব্রেশনের মাত্রা মাপা হয়েছে। বিবিএ মনে করছে ভাইব্রেশনের কারণে রেলের কংক্রিটিং করতে কোনো ধরনের সমস্যা হবে না। প্রয়োজনে গাড়ির গতি সেতুর সড়কপথে কিছুটা কমানো হতে পারে বলে জানান তিনি। বলেন, রেলপথের কাজের জন্য গাড়ি বন্ধের কোনো প্রশ্নই আসে না।
এদিকে, ১ সপ্তাহের মধ্যে পর্যবেক্ষণ শেষে দ্রুতই সেতুতে রেলপথের কাজ শুরুর কথা জানান রেল সংযোগ প্রকল্পে ব্যবস্থাপক (মাওয়া-ভাঙা সেকশন) বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ। তিনি বলেন, আমাদের কাজের অনুমতি দেয়া হয়েছে। রোববার প্রাথমিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। সোমবার থেকে কারিগরি বিষয় পরিদর্শন করা হবে।
পর্যবেক্ষণের জন্য ১ সপ্তাহ সময় লাগবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রেললাইন ও স্লিপারসহ আমাদের যেসব যন্ত্রাংশ আছে সেগুলো মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে রাখা হবে। যতদ্রুত সম্ভব আমরা পরীক্ষা-নীরিক্ষা শেষে কাজ শুরু করবো। সড়ক পথের কোনো বিঘ্ন না ঘটিয়েই কাজ শেষ করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ জুন উদ্বোধন হয় পদ্ম সেতুর সড়কপথ। পরদিন ২৬ জুন তা যানচলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। এই সেতুর ফলে নির্বিঘ্নে ঈদযাত্রা সম্পন্ন করতে পেরেছে মানুষ। ঈদের ছুটি শেষে এরই মধ্যে ঢাকায় ফিরেছেন ঘরমুখী মানুষ। এখনও ফিরছেন অনেকে।
-এটি