আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বিধি-নিষেধ আরোপ করায় গত ঈদের তুলনায় এবারের ঈদযাত্রায় কমেছে সড়ক দুর্ঘটনা। তবে কমেনি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার। বুয়েট জানিয়েছে, সড়কে মোট মৃত্যুর ৪০ শতাংশই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা।
এবার কোরবানির ঈদে ঢাকা ছেড়ে বাড়িতে গেছেন ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ। রোজার ঈদের তুলনায় এই সংখ্যা ২০ শতাংশ বেশি।
এই বিপুল সংখ্যক মানুষের চলাচলের জন্য দেশে ভারসাম্যপূর্ণ সড়ক ব্যবস্থা নেই। ফলে ঈদে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুর্ঘটনার রাশ টেনে ধরতে ঈদের আগে পরে সাত দিন মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার।
তবে বুয়েটের তথ্য বলছে, এবারের ঈদে মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪০ শতাংশই মোটরসাইকেলে। গত রোজার ঈদেও সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪০০ জনেরও ৪০ শতাংশ মোটরসাইকেল আরোহী ছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণের পরও দুর্ঘটনার হার না কমার মূল কারণ নীতি ও পরিকল্পনার মধ্যে সামঞ্জস্য না থাকা।
বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান বলেন, যে উদ্দেশ্যে মোটর সাইকেল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল, সে উদ্দেশ্য সফল হয়নি। অল্প সময়ের নির্দেশনায় ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি গিয়েছে মানুষ। ফিরতি পথে এই সংকট আরো ব্যাপক হবে।
কারণ যারা ঈদ যাত্রায় বাড়ি গেছে তারা পশুর ট্রাক বা ট্রাকের ছাদে করে বাড়ি গেছে। ফেরার সময় এই বাহনগুলো তারা পাবে না। ফলে অনেকেই মোটরসাইকেলে ফেরার চেষ্টা করবে। এবং দুর্ঘটনার চিত্র পরিবর্তন হওয়ার শঙ্কা আছে।
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) বলছে, রোজার ঈদের তুলনায় কোরবানির ঈদে দুর্ঘটনা অনেক কম। তবে দুর্ঘটনার বেশিরভাগই হয়েছে তিন চাকার বাহন ও মোটর সাইকেলের কারণে।
বিআরটিএ আরো জানায়, এবার ঈদের আগে ও পরে ৯ দিনে দুর্ঘটনায় প্রতিদিন গড়ে ৮ থেকে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
-এটি