আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ঈদে ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড় লঞ্চ ও ট্রেনে। বিমান যাত্রীর সংখ্যাও নেহাত কম নয়। কিন্তু তার ঠিক বিপরীত দিকে অবস্থান করছে বাস। ঈদযাত্রার জন্য বাস প্রস্তুত থাকলেও যাত্রী নেই। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, আগামীকাল শনিবার (৩০ এপ্রিল) বাসে যাত্রীর চাপ বাড়তে পারে।
পরিবহন সংশ্লিষ্টদের দাবি, বাসের আগাম টিকেট বিক্রির ক্ষেত্রেও ছিল মন্দা। তারা আশা করেছিলেন, বাস ছেড়ে যাওয়ার সময় যাত্রী পাবেন। তবে সে প্রত্যাশাও পূরণ হচ্ছে না।
গাবতলী বাস টার্মিনালের পরিবহন শ্রমিক মো. শফিক বলেন, ‘পুরো টার্মিনালে সাংবাদিক আর আমরা আছি। আর কেউ নাই। যাত্রী নাই।’
একই ভাষ্য আরেক পরিবহন শ্রমিক মো. শহিদের। তিনি বলেন, ‘সকালে যাত্রী থাকলেও কিছু সময় পর যাত্রী কমে গেছে। দুই-একজন করে আসে। যাত্রীর কোনো চাপ নাই। গাড়ি যে কয়টা ছাড়ছি অর্ধেক খালি।’
গাবতলী বাস টার্মিনালের কাউন্টার ঘুরে দেখা যায়, আজ ও আগামীকালসহ প্রতিদিনেরই টিকিট রয়েছে। দুপুর পর্যন্ত একেকটি কাউন্টার থেকে ২০ থেকে ৪০টি করে টিকেট বিক্রি হয়েছে। যা ঈদের সময় অনুযায়ী একেবারেই সামান্য।
এদিকে যারা ২৯ তারিখের আগাম টিকিট কেটেছিলেন বা যারা আগাম টিকিট নেননি, কিন্তু আজই বাড়ির পথে রওনা হতে চান, এমন যাত্রীদের দেখা মিলেছে গাবতলী টার্মিনালে। কাউন্টারের পাশে অপেক্ষমান অবস্থায় দেখা গেছে তাদের। কাউন্টারের সঙ্গে যাত্রীদের বসার তেমন ভালো ব্যবস্থা না থাকায় তীব্র গরমে হাঁপিয়ে উঠেছেন যাত্রীরা। কেউ কেউ গরম থেকে খানিক নিস্তার পেতে হাত পাখার সহযোগিতা নিয়েছেন।
তবে যাত্রী চাপ কম থাকায় অনেকটাই স্বস্তি বিরাজ করছে রাজধানীর অন্যতম বড় এই বাস টার্মিনালে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, ‘সড়কের যাত্রী এখনো কম দেখা যাচ্ছে। তবে কাল থেকে কিছু যাত্রী হবে। এখনো গার্মেন্টসগুলো ছুটি হয়নি। ছুটি হলে যাত্রী চাপ বাড়বে।’
খন্দরকার এনায়েত উল্লাহ্ জানিয়েছেন, যদি আগামীকালও যাত্রী না হয়, সে ক্ষেত্রে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা লোকসানের মুখোমুখি হবেন।
তিনি বলেন, ‘পুরো রোজার মাসটা যাত্রী ছিল না। এখনো যদি না হয়, তাহলে লোকসান হবে।’
ট্রেনে ও লঞ্চে যাত্রী আছে। কিন্তু বাসে সেভাবে নেই। এর কারণ জানতে চাইলে এই পরিবহন মালিক বলেন, ‘যাত্রীরা ভয় পাচ্ছেন, সড়কে যানজট হতে পারে। তাই অনেকে বাসে যেতে চাইছেন না।’
এনটি