আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) দেশে উদযাপিত হবে পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর। মহিমান্বিত এই রাতে বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসীকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এবং এই করোনার সংকট থেকে মুক্তি পেতে মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে বিশেষভাবে ইবাদত ও দোয়া প্রার্থনার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (২৭ এপ্রিল) ‘পবিত্র শবে কদর’ উপলক্ষে দেওয়া পৃথক বাণীতে রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এই আহ্বান জানান।
শবে কদরে দেশবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাণীতে বলেন, ‘পবিত্র লাইলাতুল কদর মানবজাতির জন্য অত্যন্ত বরকত ও পুণ্যময় রজনী। এ রাত ‘হাজার মাসের চেয়েও উত্তম’। পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ আল কোরআন লাইলাতুল কদরে নাজিল হয়। তাই মুসলিম উম্মাহর কাছে শবে কদরের গুরুত্ব, তাৎপর্য ও ফজিলত অত্যধিক। আমাদের ক্ষণস্থায়ী জীবনে হাজার মাসের চেয়েও বেশি ইবাদতের নেকি লাভের সুযোগ এনে দেয় এই রাত। এই মহিমান্বিত রজনী সকলের জন্য ক্ষমা, বরকত, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ বয়ে আনুক মহান আল্লাহর দরবারে এ মোনাজাত করি।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। মানুষের ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির জন্য ইসলামের সুমহান আদর্শ আমাদের পাথেয়। আমরা এমন একটি সময়ে পবিত্র রমজান মাস পালন করছি যখন বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে করোনা মহামারি, সংঘাত, যুদ্ধবিগ্রহ, অভাব-অনটনসহ বিভিন্ন কারণে হাজার হাজার মানুষ অসহায় দিনাতিপাত করছে।’ শবে কদরের এই পবিত্র রজনীতে সবাইকে এসব সংকট থেকে উত্তরণের জন্য সর্বশক্তিমান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপ্রধান।
আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমি পরম করুণাময় আল্লাহর কাছে অশেষ রহমত ও বরকত কামনার পাশাপাশি দেশের অব্যাহত অগ্রগতি ও কল্যাণের জন্য প্রার্থনা জানাই। মহান আল্লাহ আমাদের প্রার্থনা কবুল করুন।’
এদিকে ‘পবিত্র শবে কদর’ উপলক্ষে দেশবাসীসহ বিশ্বের সব মুসলমানকে আন্তরিক শুভেচ্ছা মোবারকবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, ‘লাইলাতুল কদর এক মহিমান্বিত রজনী। সিয়াম সাধনার মাসের এই রাতে মানবজাতির পথ নির্দেশক পবিত্র আল-কোরআন পৃথিবীতে নাজিল হয়। পবিত্র কোরআনের শিক্ষা আমাদের পার্থিব সুখ-শান্তির পাশাপাশি আখেরাতের মুক্তির পথ দেখায়।’
‘মহান আল্লাহ তায়ালা লাইলাতুল কদরের রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম। এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নেয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র এই রাতে ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি। অর্জন করতে পারি তাঁর অসীম রহমত, নাজাত, বরকত ও মাগফেরাত।’
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে আহ্বান করে বলেন, ‘আসুন, আমরা সকলে এই মহিমান্বিত রজনীতে মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে বিশেষভাবে ইবাদত ও দোয়া প্রার্থনা করি যেন আল্লাহ বাংলাদেশের জনগণসহ বিশ্ববাসীকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্তি দেন। পবিত্র এই রজনীতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম জাহানের উত্তরোত্তর উন্নতি, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করছি। মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।’
এনটি