আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আমি এবং আমার স্ত্রী উভয়ে গ্রামীণ ব্যাংকে চাকুরী করি। আমরা সবাই জানি যে, ব্যাংকিং লেনদেন সুদমুক্ত নয়। তো পরিশ্রমের বিনিময়ে আমাদেরকে বেতন দেওয়া হচ্ছে এবং অবসরের পর কয়েক লক্ষ টাকা পেনশন দেওয়া হবে।
আমার প্রশ্ন হল, পরিশ্রমের মাধ্যমে উক্ত বেতন এবং পেনশন-এর টাকা আমাদের জন্য হালাল হচ্ছে কি না?
উত্তর ১. প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলো সুদী নিয়মে পরিচালিত। তাই ব্যাংকের চাকুরীর বেতন হালাল নয়। কেননা ব্যাংকের চাকুরী সুদী কারবারে সরাসরি সহযোগিতা। শরীয়তে সুদের কঠোরতা ও নিষেধাজ্ঞা অনেক দৃঢ়। হাদীসে শুধু সুদ লেন-দেনকেই হারাম বলা হয়নি। বরং এর লেখক ও সাক্ষীগণের উপরও অভিসম্পাত করা হয়েছে। জাবের রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন-
لَعَنَ رَسُولُ اللهِ صَلَى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَمَ آكِلَ الرِّبَا وَمُؤْكِلَهُ وَكَاتِبَهُ وَشَاهِدَيْهِ، وَقَالَ: هُمْ سَوَاءٌ. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুদ গ্রহণকারী, সুদ দাতা, সুদী কারবারের লেখক এবং তার সাক্ষীদ্বয়ের উপর অভিসম্পাত করেছেন। এবং তিনি বলেছেন, তারা (সকলে) সমান। (সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৫৯৮)
উল্লেখ্য, শ্রমার্জিত টাকা হলেই তা হালাল হয়ে যায় না। বরং শ্রমার্জিত টাকা তখনই হালাল হবে যখন কাজটি বৈধ হবে। আর কাজ বৈধ না হলে উপার্জনও হালাল হবে না। এটি শরীয়তের স্বীকৃত কথা, যা বহু দলীল দ্বারা প্রমাণিত। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৫৯৮; জামেউল বায়ান, তাবারী ৩/১০৩; ফাতহুল বারী ৪/৩৬৭।
-এটি