আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য উদ্দেশপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিকর দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার এক বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রচারিত মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জ ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দাবি মতে মুক্তির নাকি একটাই পথ; জিয়াউর রহমানের দেখানো পথে গিয়ে একটা ঘটনা ঘটানো। জিয়াউর রহমান তো হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে গণতন্ত্রের সমাধি রচনা করে তার উপর পাকিস্তানি ভাবধারার বিষবৃক্ষের বীজ বপন করেছিলেন। অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেছিলেন। জনগণ তাই শঙ্কায় আছে, না জানি বিএনপি কখন কি দুর্ঘটনা ঘটিয়ে বসে।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দুঃসময়ের কথা বলে দেশের জনগণকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন। আসলে দেশে কোনো দুঃসময় নেই, দুঃসময় যাচ্ছে বিএনপির রাজনীতিতে। তাদের নেতাকর্মীরা এখন হতাশ। শীর্ষ নেতাদের নেতৃত্ব ও সক্ষমতা নিয়ে তারা সন্দিহান। বিএনপি'র নেতাকর্মীরা এখন দিশেহারা পথিক। তারা এখন বিএনপি'র শীর্ষ নেতাদের ব্যর্থ নেতৃত্ব থেকে মুক্তি চায়। আর জনগণ চায় বিএনপি'র আমলের দুঃশাসন ভুলে যেতে।
এসব কারণে জনগণ বার বার আওয়ামী লীগকেই বেছে নিয়েছে এবং আগামী নির্বাচনেও জনগণ আওয়ামী লীগকেই বেছে নেবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সম্প্রতি পাকিস্তানে ঘটে যাওয়া বিষয়গুলো ধারণ না করলে, না বুঝলে তাদের নাকি মুক্তি হবে না। বিএনপির মহাসচিবের এ ধরনের বক্তব্য থেকেই বোঝা যায়, তারা এখনো পাকিস্তানি ভাবধারার রাজনীতি থেকে বের হতে পারেনি। তাদের অন্তরে এখনো পাকিস্তান রয়ে গেছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও বাংলাদেশের স্বাধীনতায় তারা বিশ্বাস করে না এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে না। বিএনপিকে বুঝতে হবে পাকিস্তানকে পরাজিত করে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। বাংলাদেশ আজ আর্থ-সামাজিক সকল সূচকে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে। তাই বাংলাদেশ আর পাকিস্তান হবে না।
সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, বিএনপির ইতিহাস মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুন্ঠিত করার ইতিহাস, গণতন্ত্র হত্যার ইতিহাস, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে লুন্ঠন ও দুর্নীতির রাজত্ব কায়েমের ইতিহাস।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, বিএনপির নেতারা বার বার বলছে- তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নাকি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন মীমাংসিত একটি বিষয়। কাজেই নতুন করে এ নিয়ে কোন প্রকার দুঃস্বপ্ন দেখে লাভ নেই। নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সরকার শুধু নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করবে। তাই বিএনপিকে বলব, নির্বাচনে যদি বিশ্বাস করেন, জনগণের উপর যদি আস্থা থাকে তবে ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিন। আশা করি, বিএনপির শুভবুদ্ধির উদয় হবে।
এনটি