আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: পাকিস্তানে সাবেক এক রাষ্ট্রদূতের মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে এক শিল্পপতির ছেলেকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিচারক আতা রাব্বানী এ রায় ঘোষণা করেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
তবে এ মামলায় দোষী সাব্যস্ত জহির জাফরের বাবা-মা’কে বেকসুর খালাস দেওয়ায় দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
রায়ে জহির জাফরের দুই গৃহকর্মী, একজন নিরাপত্তা কমী এবং একজন মালীকে প্রমাণ নষ্ট করে ফেলার অভিযোগে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
গত বছরের জুলাইয়ে ২৭ বছরের নূর মুকাদ্দামকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে তখন দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়।
এ হত্যাকাণ্ডে দেওয়া পুলিশি প্রতিবেদনে বলা হয়, বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় মুকাদ্দামের ওপর হামলা করা হয়। তিনি বেশ কয়েকবার জাফরের বাড়ি থেকে পালাতে চেষ্টা করেও পারেননি। বারবারই জাফরের বাড়ির কর্মীরা তাকে বাধা দিয়েছেন। জাফর তাকে ধর্ষণ করেন এবং লোহার মুষ্টি দিয়ে আঘাত করেন। এরপর তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিরশ্ছেদ করেন।
নূর মুকাদ্দামের বাবা শওকত মুকাদ্দাম দক্ষিণ কোরিয়া ও কাজাখস্তানে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।
মামলার রায়ের পর নূরের বাবা শওকত মুকাদ্দাম বলেন, “এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। আজ, আমার মেয়ের আত্মা কিছুটা হলেও শান্তি পাবে।” বিচারের দাবিতে সহায়তার জন্য তিনি মিডিয়াকে ধন্যবাদ জানান।
বাদী পক্ষের আইনজীবী শাহ খাওয়ার বলেন, “ন্যায়বিচার হয়েছে এবং আজকের রায় ব্যাপকভাবে পাকিস্তানি নারীদের ক্ষমতায়ন করবে। তবে আমরা মূল আসামির বাবা-মায়ের খালাসের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব।”
উল্লেখ্য, দেশটির সরকারি এক জরিপে দেখা গেছে, ২০১৭ থেকে ২০১৮ সালে ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী নারীদের ২৮% শারীরিক সংহিসতার শিকার হয়েছেন। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বাস্তবে এ সংখ্যা আরও বেশি। কারণ, অনেক অভিযোগ লিপিবদ্ধই হয় না।
এনটি