আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: কোন কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। রাশিয়ার স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টার কিছুক্ষণ আগে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন। এরপরই ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে সামরিক অভিযানে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রস্তুত থাকা রুশ সেনারা।
২০১৪ সালে যখন রাশিয়া প্রথমবার ইউক্রেনে প্রবেশ করে, তখন প্রেসিডেন্ট পুতিন-সমর্থিত বিদ্রোহীরা ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের বেশ বড় একটি এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। এরপর থেকেই তারা ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করে আসছে।
তবে সাম্প্রতিক খবর হলো, বিদ্রোহীরা শুধু যেটুকু এলাকার নিয়ন্ত্রণ করছে, শুধু সেটাই দাবি করছে না, তারা পুরো দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলকে নিজেদের বলে দাবি করছে।
যুদ্ধ বন্ধে একটি আন্তর্জাতিক মিনস্ক শান্তি চুক্তি হয়েছিল, কিন্তু লড়াই তাতে থামেনি। আর এ কারণেই রাশিয়ার নেতা বলছেন, ওই অঞ্চলে তিনি তথাকথিত শান্তিরক্ষী পাঠাচ্ছেন।
বেলারুশের রাজধানী মিনস্কে ২০১৫ সালে এ চুক্তি হয়েছিল। যেখানে প্রধান শর্ত ছিল, পূর্ব ইউক্রেন থেকে সামরিক স্থাপনা, সামরিক সরঞ্জাম ও ভাড়াটে সেনাদের সরিয়ে নিতে হবে।
এ ছাড়া বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চলগুলোকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার কথা বলা হয়। অঞ্চলগুলোতে নিজস্ব পুলিশবাহিনী ও স্থানীয় বিচারব্যবস্থা নিয়োগের কথাও উল্লেখ হয় চুক্তিতে। তবে সেসব চুক্তি বাস্তবায়ন করেনি কিয়েভ।
ইউক্রেনের ন্যাটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দিতে চাওয়ার ইচ্ছাও এ আক্রমণের আরেক কারণ। কারণ, অনেক দিন ধরে সেই বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছে রাশিয়া।
রাশিয়ার দাবি, পশ্চিমা দেশগুলোকে নিশ্চয়তা দিতে হবে, 'ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দেবে না'। ন্যাটো পশ্চিমা দেশগুলোর একটি সামরিক জোট, যেখানে ৩০টি দেশ রয়েছে।
পুতিনের দাবি, ইউক্রেন পশ্চিমা দেশগুলোর হাতের পুতুল এবং কখনোই প্রকৃত রাষ্ট্র ছিল না। এ ছাড়াও আরেকটি কারণ হলো, ইউক্রেন দেশ হিসেবে স্বীকৃতির পরও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের একটি দেশ হিসেবে রাশিয়ার সঙ্গে দেশটির গভীর সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে। সেখানে রুশ ভাষাও ব্যাপকভাবে বলা হয়।
রাশিয়া মনে করে, ইউক্রেন কোনোদিনই প্রকৃত অর্থে একটা রাষ্ট্র ছিল না। তিনি এর আগেও বলেছেন, এখন যা ইউক্রেন, তা আসলে 'প্রাচীন রুশ ভূখণ্ড’।
-এটি