আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে আওয়ামী সরকার একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শচ্যুত দলে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগ এখন বঙ্গবন্ধুর নাম ভাঙ্গিয়ে চলছে কিন্তু তার আদর্শ দলের নেতাকর্মীরা কেউ লালন করে না। বিবেককে বিসর্জন দিয়ে এখন সবাই ক্ষমতা আর ভোগের রাজনীতিতে ব্যস্ত। বর্তমান বাস্তবতায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন আওয়ামী লীগের জন্য বেমানান।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে জনগণের ‘৩০ ডিসেম্বর ভোটাধিকার হরণ দিবস’ উপলক্ষে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণ রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে জনগণের ভোটাধিকারকে হত্যা করেছে। শুধু বাংলাদেশ নয় গোটা বিশ্বের মানুষ জানে, যে নির্বাচন ৩০ডিসেম্বর হওয়ার কথা ছিল সেটা ২৯ ডিসেম্বর রাতে হয়ে গেছে। ভোট ডাকাতির মাধ্যমে জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, চলমান ইউপি নির্বাচনেও সরকার দলীয় দস্যুরা জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিচ্ছে। হাতপাখার চেয়ারম্যান প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের উপর জুলুম নির্যাতন, বাড়ীঘর পুড়িয়ে দেয়া, অপহরণ করে নেয়া এবং প্রার্থীর দোকান পুড়িয়ে দিয়ে বিগত দিনের চেহারা আয়নার সামনে নিয়ে আসছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এখন অভিশপ্ত দলে পরিণত হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেন, ৩০ ডিসেম্বর তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল পুলিশ ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে দিনের ভোট রাতে করার মধ্য দিয়ে অবৈধভাবে পুনঃ ক্ষমতাসীন হয়েছে। অবৈধ এই সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় রয়েছে। এ সরকারের ক্ষমতায় থাকার নৈতিক কোনো অধিকার নেই। তাই এই দিনে অবৈধ সরকারের প্রতি আমরা অনাস্থা প্রকাশ করছি। দেশের জনগণের কাছে এ দিনটি ভোটাধিকার হরণের কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে। কারণ দেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এই দিনে জনগণের মৌলিক অধিকার ভোটাধিকার হরণ করেছে। নাগরিক ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, হাফেজ মাওলানা ছিদ্দিকুর রহমান, অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান, মুফতী আল-আমিন এহসান, শহিদুল ইসলাম কবির, মাওলানা বাছির উদ্দিন মাহমুদ প্রমুখ।
-এএ