বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


সৌদিতে ওমিক্রন সতর্কতা: নাগরিকদের অপ্রয়োজনীয় বিদেশ ভ্রমণে মানা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম।। সৌদি আরবের জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সতর্কতায় নাগরিকদের সৌদি আরবের বাইরে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। বিশেষ করে উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলিতে ভ্রমণ না করতে অনুরোধ করা হয়েছে।

ওয়াকিয়া বলেছেন, বিশ্বের অনেক দেশে এই নতুন ধরণের করোনার বিস্তার ত্বরান্বিত হয়েছে, যার পরে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা কঠোর করা দরকার। এই দেশগুলিতে সামাজিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। ওমিক্রন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে।

ওয়াকিয়া নির্দেশনা দিয়ে বলেছেন, সৌদি আরবের বাইরে থেকে আসা যাত্রীরা, নাগরিক বা বিদেশীদের, পাঁচ দিনের জন্য সামাজিক যোগাযোগ এড়িয়ে চলা উচিত। টিকা দেওয়া সত্ত্বেও তাদের কোভিড পরীক্ষা করা উচিত। তাপমাত্রা পরীক্ষা করা উচিত। সূত্র: আসরে হাজির

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউসি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ক্রিসমাসের ভ্রমণে করোনার অতিসংক্রামক ওমিক্রন ধরনের প্রকোপ বাড়বে। এমনকি যারা টিকার দুডোজ নিয়েছেন, তারাও সংক্রমিত হবেন।

রোববার (১৯ ডিসেম্বর) এনবিসির মিট দ্য প্রেস কর্মসূচিতে তিনি এমন দাবি করেন। তিনি বললেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই, সংক্রমণের অসাধারণ সক্ষমতা রয়েছে ওমিক্রনের। ধরনটি এখন বিশ্বজুড়ে ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়ছে।

মহামারির এভাবে প্রাদুর্ভাব ঘটলে স্বাস্থ্যসেবায় মারাত্মক প্রভাব পড়বে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে এই বিজ্ঞানী আরও বলেন, আমাদের হাসপাতালগুলো বর্তমানে যে অবস্থায় আছে, তাতে ব্যাপক চাপে পড়ে যাবে।

সংক্রমণ থেকে বাঁচতে লোকজনকে সামাজিক দূরত্ব বজায় ও মাস্ক পরতে পরামর্শ দিয়েছেন ফাউসি। এদিকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে যুক্তরাষ্ট্রে দিনে ১০ লাখ লোক করোনার অতিসংক্রামক ওমিক্রন ধরনে আক্রান্ত হতে পারেন।

রোববার দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের বিদায়ী পরিচালক ফ্রান্সিস কলিন্স এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এখন পর্যন্ত ৮৯টি দেশে এই সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। কমিউনিটি ট্রান্সমিশন আছে, এমন সব এলাকায় মহামারির প্রাদুর্ভাবের হারও দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

ফ্রান্সিস কলিন্স বলেন, আমি জানি, লোকজন ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। বিশ্বাস করেন, আমি নিজেও ক্লান্ত। আমরা এখনো জানি না, এই ভাইরাসের কতটা সক্ষমতা রয়েছে। যদিও ওমিক্রনের তীব্র রূপ নেওয়ার ঝুঁকি অনেকটা কম।

তিনি আরও বলেন, আমরা যদি মহামারি প্রশমনের কলাকৌশলে মনোযোগী না হই, তবে এ দেশে দিনে ১০ লাখ মানুষও আক্রান্ত হতে পারেন।

কেউ ওমিক্রনের মতো ভাইরাস প্রত্যাশা করে না জানিয়ে তিনি বলেন, এটি মোকাবিলা করা সত্যিকার অর্থে খুবই কঠিন। এটির ৫৭টি ভিন্ন রূপান্তর ঘটেছে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ