কক্সবাজার প্রতিনিধি
অবশেষে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করার কথা ছিল বৃহস্পতিবার। প্রতিদিন যেতে পারবেন দুই হাজার পর্যটক। তবে শুরুতেই যাত্রী সংকটের কারণে বৃহস্পতিবার থেকে সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাহাজ মালিক কর্তৃপক্ষ।
কেয়ারি সিন্দাবাদ-এর ইনচার্জ নুর মোহাম্মদ সিদ্দিকী জানান, মানুষের অসম্ভব সাড়া আসছে কিন্তু পর্যটকরা এখনো দ্বিধাদ্বন্ধে আছে ট্রাভেল পাসটি আসলে কি হবে। টিকেট বিক্রি হয়নি। ১ ডিসেম্বর থেকে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
সম্প্রতি নাফ নদীতে ডুবোচর জেগে ওঠার কারণে নাব্য সংকট এবং মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলির কারণে নিরাপত্তার অভাবে আপাতত টেকনাফ থেকে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক সালাহ উদ্দিন বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটক যাতায়াত এবং জাহাজ চলাচলের বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে কক্সবাজার শহরে জাহাজ চলাচলের ঘাট নির্ধারণ করা হয়েছে। পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের জন্য কেয়ারি সিন্দাবাদ নামে একটি জাহাজকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুমতি দেয়া হয়েছে। যেটি বৃহস্পতিবার থেকে চলাচল কথা রয়েছে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে জেলা শহরের বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে প্রতিদিন এ জাহাজ ছাড়ার কথা রয়েছে।
এদিকে, গত ১৯ নভেম্বর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সাবরীনা রহমান স্বাক্ষরিত পৃথক অফিস আদেশে সেন্টমার্টিনের পর্যটন নিয়ন্ত্রণে কমিটি গঠন হয়।
কর্মপরিধি হিসেবে বলা হয়েছে, সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে ওঠার আগে এন্ট্রি পয়েন্টে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের তৈরি করা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করে ট্রাভেল পাস নিতে হবে।
ট্রাভেল পাসধারী পর্যটকদের অনুমোদিত জাহাজে ভ্রমণ নিশ্চিত করবে গঠিত কমিটি। পর্যটক ও অনুমোদিত জাহাজে নিষিদ্ধঘোষিত পলিথিন ব্যাগ ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের পণ্য পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পর্যটকেরা সেন্টমার্টিন দ্বীপে পৌঁছার পর কোন হোটেলে থাকবেন, তা লিপিবদ্ধ করার পাশাপাশি রেজিস্টারে সংরক্ষণ করা হবে।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর সরকারের পক্ষ থেকে অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত ছয় মাস টেকনাফ-সেন্টমার্টিন ও কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। বাকি ছয় মাস সাগর উত্তাল থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়।