আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: তুরস্ক ইরানের মধ্য দিয়ে না গিয়ে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সাথে স্থল সংযোগে আগ্রহী। ব্রিটেনের টেলিগ্রাফ পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, তুরস্ক ইতোমধ্যে এই অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলোকে প্রভাবিত করেছে।
জেমস কিলনার লিখেছেন, ‘আঙ্কারা মধ্য-এশিয়ার সরকারগুলোকে, তাদের তুর্কি এবং ইসলামিক সংযোগ দিয়ে, আজারবাইজানকে সমর্থন করার জন্য চাপ দিয়েছে।’ ফরাসি দৈনিক এল’ ওপিনিয়ন বিশ্বাস করে যে, এটি ফ্রান্সের বিরুদ্ধে তুরস্কের বিজয়। তুরস্কের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির মুখে রাশিয়ার সামরিক সরঞ্জামগুলো যুদ্ধে দুর্বল প্রমাণিত হয়েছে। বিশ্বশক্তি তুরস্ককে নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু পারেনি।
তুরস্ক লক্ষ্য অর্জন না করা পর্যন্ত তার মিত্রদের পাশে দাঁড়িয়েছে, এটা সবার কাছে একটি বার্তা। বিশ্বকে ভালোভাবে বোঝা উচিত যে, ভূমধ্যসাগরীয় বা অন্য কোথাও তুরস্ককে তার অধিকার ত্যাগ করার জন্য চাপ দেওয়া অত সহজ নয়।
এরদোগানের কাছে সংগঠনের সভাপতিত্ব হস্তান্তর করে আলিয়েভ তার আস্থা ব্যক্ত করেন যে, তুরস্কের রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে ঐক্য, সংহতি এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে তুর্কি দেশগুলোর ঐক্য, ইউনাইটেড স্টেটেস অব তুর্কির মধ্যে সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হবে। তিনি বলেন, ‘এতে কোনো সন্দেহ নেই যে সম্মানিত রাষ্ট্রপতি, তুর্কি বিশ্বের নেতা, এতে সফল হবেন।’
এরদোগান বলেন, ‘এই অঞ্চল আবারও সব মানবতার জন্য আকর্ষণ এবং জ্ঞানের কেন্দ্র হয়ে উঠবে। ভিশন-৪০ তুর্কি বিশ্বে অনন্ত ভ্রাতৃত্বের নতুন লক্ষণ হিসেবে পরিগণিত হবে।’
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বিশ্বকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, ‘তুর্কি কাউন্সিল কাউকে বিরক্ত করার জন্য গঠিত হয়নি এবং এই সংস্থার বিপক্ষেও কারো কার্যক্রম শুরু করা উচিত নয়।’ ‘এর পেছনে রয়েছে প্রাচীন ইতিহাস ও মানব সম্পর্কের ভিত্তি।’ জানা যায়, এখন পর্যন্ত কমপক্ষে পনেরটি দেশ ইউনাইটেড স্টেটেস অব তুর্কি, যা এখনো একটি সংগঠন, তার পর্যবেক্ষকের মর্যাদা চাইছে!
বিশ্লেষকরা বলছেন, অচিরেই এটি ‘তুর্কি বিশ্বের যুক্তরাষ্ট্র’ হিসাবে বিকাশ লাভ করবে।তুরস্ক এবং পশ্চিমের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে কূটনৈতিক অবক্ষয় দেখে বেশিরভাগ পর্যবেক্ষক বিস্মিত হয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট এরদোগান ১০ জন পশ্চিমা রাষ্ট্রদূতকে পারসোনা নন গ্রাটা ঘোষণা করে দেশত্যাগ করার নির্দেশও দিয়েছেন। পশ্চিমারা সম্ভবত ব্যাপকভাবে বিশ্বাস করে যে, তারা তুরস্কের বিরুদ্ধে মার্কিন নেতৃত্বাধীন হাইব্রিড যুদ্ধের অংশ হিসাবে কূটনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক আক্রমণ করে মেধার স্ফুরণকে পরখ করতে চেয়েছিল!
এই ১০টি দেশের দূতাবাস অপ্রত্যাশিতভাবে তাদের সরকারী নীতি পুনরায় নিশ্চিত করে বিবৃতি প্রকাশ করে এক ধাপ পিছিয়ে যায় যে, তারা তাদের আয়োজক রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না।
এর জবাবে প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, আপাতত বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে, যদি না তারা আবারও কূটনৈতিকভাবে হস্তক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই উদাহরণটি প্রমাণ করে, আপাতত তুরস্ককে উত্তেজিত করা থেকে পশ্চিমাদের সরে আসতে হবে। তবে মনে হয়, তুরস্কের গ্রীষ্মকালীন ২০২৩ সালের নির্বাচনের আগে এ ধরনের আরো উস্কানির উদ্ভব হতে পারে।
এটি আরো বোঝায় যে পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তুরস্কের নেতার মানসিকতা সম্পর্কে ততটা গভীর ধারণা নেই যতটা কেউ কেউ ভেবেছিল।
-এটি