আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে (অগ্রহায়ন) চরমোনাইয়ের অগ্রহায়ণের মাহফিলের কার্যক্রম শুরু হল। এর আগে জুমার নামাজের খুতবা প্রদান করেন নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম ।
আজ (১০ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশের অন্যতম ধর্মীয় গণজমায়েত ও মাহফিল চলবে টানা তিন দিন৷
মাহফিলে অংশ গ্রহণকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে জামাতবদ্ধ/একাকীভাবে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লী চরমোনাই ময়দানে উপস্থিত হয়েছেন৷ উত্তরবঙ্গ ও ঢাকার অধিকাংশ মুসল্লী গতকাল রাতে লঞ্চযোগে মাহফিলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন৷
ময়াদনে অবস্থান করছেন এমন কয়েকজন উচ্চপর্যায়ের দায়িত্বশীলদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এবার অগ্রহায়ণের মাহফিল উপলক্ষ্যে চরমোনাইয়ের সবকটি মাঠ প্রস্তুত করা হয়েছে। মাঠ পূর্ণ হয়ে গেছে৷ গত বছরের তুলনায় এবার প্রচুর মানুষের সমাগম লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলেও তারা জানান।
ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের একজন কেন্দ্রীয় নেতা জানিয়েছেন, মুসল্লীদের সব ধরনের সেবা যাতে নিশ্চিত হয় সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখা হয়েছে৷ মাহফিল প্যান্ডেল সংলগ্ন অস্থায়ী হাসপাতাল আগের তুলনায় আরো উন্নত করা হয়েছে৷ প্রস্তুতি কাজ তদারকি করেছেন স্বয়ং আমীরুল মুজাহিদিন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম, পীর সাহেব চরমোনাই৷
তিন দিনব্যাপী এই মাহফিলে মোট সাতটি মৌলিক বয়ান হবে৷ পীর সাহেব, মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম ও প্রিন্সিপাল মুসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি বয়ান রাখবেন৷ শেষ দিন আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করিম৷
বয়ান, জিকির, কুরআন, নামাজ ও সুন্নতি আমলের মশক, তা’লিম, তারবিয়ত, বাইয়াত গ্রহণ, উলামা সম্মেলন, ছাত্র গণ জমায়েত ইত্যাদি নানাবিধ আত্ম-উন্নয়নমূলক কাজের মধ্য দিয়ে আগত মুসল্লীগণ সময় অতিবাহিত করবেন৷
এর আগে এ বছর চরমোনাই ময়দানের ঐতিহাসিক বার্ষিক মাহফিলের তারিখ দুইবার পরিবর্তন করা হয়। প্রথমে নভেম্বরের পরিবর্তে ৮ ডিসেম্বর করা হয়। এরপর আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে ১০ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করা হয়। ১২ ডিসেম্বর আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে তিন দিনব্যাপী এ মাহফিল।
এনটি