আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আজ বুধবার ঘোষণা করা হবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় । ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো: কামরুজ্জামান রায় ঘোষণা করবেন।
এর আগে আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় গত ২৮ নভেম্বর রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য থাকলেও তা পিছিয়ে দেন আদালত। রায় ঘোষণার জন্য আজ দিন ধার্য করেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো: কামরুজ্জামানের আদালত। ওেই দিন দুপুর ১২টা ৭ মিনিটে বিচারক এজলাসে এসে বলেন, মামলার রায় এখনো প্রস্তুত না হওয়ায় আগামী ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হলো।
এদিকে চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায়ে সব আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। অপর দিকে আসামি পক্ষের আইনজীবীদের দাবি, রাষ্ট্রপক্ষ মামলা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই তারা আশা করছেন আসামিরা খালাস পাবে। এ বিষয়ে পাবলিক প্রসিকিউটর আবু আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে মামলার সব সাক্ষীর তথ্য-উপাত্ত, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীসহ সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আদালতে উপস্থাপন করেছি।
২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এদের মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জন এবং এর বাইরে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আরো ছয়জন জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে আবরারকে তার হলের কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে যান বুয়েট ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। তারা ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে গিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে রাত ৩টার দিকে শেরে বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ওই বছরের ৭ অক্টোবর রাজধানীর চকবাজার থানায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদি হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পুলিশ পরে ২২ জনকে গ্রেফতার করে। এর মধ্যে আটজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। এদের সবাই বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। আবরার ফাহাদ ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
এনটি