শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
অ্যাডভোকেট আলিফের কবর জিয়ারত ও পরিবারের পাশে হেফাজতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ  প্রাইমারি স্কুলে আলেম ধর্মীয় শিক্ষক বাধ্যতামূলক করতে হবে: মাওলানা ইসলামাবাদী বগুড়ায় ছাত্র আন্দোলনে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা শেরপুরে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে স্মরণসভা শেরপুরে শেখ হাসিনাসহ ৫৯ জনের নামে মামলা কাল বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন জামায়াত আমীর হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ল ১৫ দিন রাষ্ট্রদ্রোহী সংগঠন চলতে দেয়া হবে না: মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী ২২৫০০ কোটি নতুন টাকা ছাপিয়ে ৬ ব্যাংককে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

‘আবরারের মা যে আসামিদের মায়েদের বিচার চাননি এজন্য তার কাছে কৃতজ্ঞ’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আবরারের মা যে আসামিদের মায়েদের বিচার চাননি এজন্য তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত এক আসামির মা। বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণার পর আদালত চত্ত্বরে এ কৃতজ্ঞতার কথা প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘তার ছেলে কখনো কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল না। বুয়েটে ভর্তি হওয়ার পর জড়িয়ে পড়ে রাজনীতিতে। রাজনীতির কারণেই তার মেধাবী সন্তানের ফাঁসির রায় হলো। আর কোনো বাবা-মা যেন তাদের সন্তানদের রাজনীতিতে যুক্ত হতে না দেন সেই আবেদন জানান তিনি।’

আজ বুধবার দুপুরে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান। রায়ে ২০ আসামিকে ফাঁসি এবং পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

রায় ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়ায় এই মা আরও বলেন, ‘শুধু রাজনীতি করার কারণে তার ছেলের এই সাজা হয়েছে। রাজনীতি না করলে এই মামলায় জড়াতে হতো না।’

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে পরের দিন ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ। ওই বছরের ১৩ নভেম্বর ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক ওয়াহেদুজ্জামান।

২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ২২ আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করেন এবং পলাতক তিন আসামিসহ ২৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করেন। ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়ে চলতি বছর ৪ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। ওই সময়ের মধ্যে মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ট্রাইব্যুনাল ৪৬ জনের সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ