নাসির আহমদ।। ব্রিটেনে একজন পার্টি গার্ল অন্ধকার জগত ছেড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। সেইসাথে ব্যক্তিগত জীবনে শুরু করেছে হিজাব পরিধান।
‘লন্ডন বারে’ নাচতে থাকা নারী তার আগের জীবন বিসর্জন দিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। তার নাম পার্সেফোন, তিনি বলেছেন, ইসলাম ধর্ম গ্রহণের আগে আমি হালিমা নামের এক বোনের সঙ্গে রোজা রেখেছিলাম। এটি ছিল একটি চমৎকার আধ্যাত্মিক অনুভূতি যার পরে আমি ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে হিজাব পরিধান শুরু করি। এখন আমি একজন মুসলিম, আলহামদুলিল্লাহ। একজন ব্রিটিশ সম্প্রচারকারীর সাথে আলাপকালে “কী ঘটেছিল” তার গল্প বলতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন আমি যদি মুসলিম না হতাম আমি আমার জীবন ধ্বংস করে দিতাম।
এই একুশ শতকের পৃথিবীতে আধুনিক বিশ্বের জীবনযাত্রায় নোংরা জীবন থেকে এমন একটি মেয়ে ইসলামের দিকে প্রত্যাবর্তন করবে এটাই স্বাভাবিক, আশ্চর্য কিছু নয়! তবে চিন্তার বিষয় হলো, কোন জিনিস তাকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে উদ্বুদ্ধ করল? হ্যাঁ যদি সহজ করে বলি, তাহলে বলতে হয় চৈাদ্দশত বছর আগে ওমর রা. কে যেই অনুভূতি ইসলাম গ্রহণে বাধ্য করেছিল সেই আত্মপরিচয়টিই আজকের পার্সেফোনকে ইসলামের ছায়াতলে আসতে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে।
স্রষ্টা যখন সৃষ্টি করেন তখন সৃষ্টের পথ চলার শৈলী তিনিই নির্ধারণ করবেন এটাই বাস্তবতা এবং এতেই শান্তি শৃঙ্খলা নিহিত আছে ,থাকবে। যেমন একটি মোবাইল বা লেপটপ প্রয়োগে উপকার লাভের জন্য সুনির্দিষ্ট নীতি বহির্ভূত পন্থা উপকারিতার বিচারে পদস্খলন বা ব্যর্থতাই সামনে আসবে। তেমনি যদি কোন মানুষ তার জীবন প্রয়োগের বাস্তবতায় স্রষ্টার বিধিবিধান বুঝার ক্ষেত্রে ভুল করে বসে তাহলে শান্তি-শৃঙ্খলার বিচারে অশান্তি আর বিশৃঙ্খলাই প্রকাশ পাবে।
এই যুক্তি সবাই বিশ্বাস করে, কিন্তু এরপরেও তফাৎটা কেন, কেন মানব জীবনের বাস্তবতায় এতো বৈচিত্র ও বৈষম্য? বৈষম্যই তো থাকবে, কারণ আত্মপরিচয়ের ধারণা যে বিচিত্র! মানুষ কোত্থেকে এসেছে,কেন এসেছে ,কী করণীয় এবং কোথায় যাবে? এসকল প্রশ্ন আমরা মানবজাতির মধ্যে যাদের ভাবিয়ে তুলেছে তারা তো সত্যকে খুঁজে পাবেই!
আধুনিকতার যুগে মানুষ জ্ঞান-বিজ্ঞনের যে কোন শাখার পথ ধরে যে কোন পর্যায়ের সত্যকে অনুসন্ধান করুক না কেন সে পাবেই। প্রতিটি জ্ঞানশাখার রয়েছে নির্দিষ্ট পরিমন্ডল বা সীমারেখা,জ্ঞানশাখার একটি ব্যর্থ হলে অপরটি তাকে সমাধানের পথে সহযোগিতা করে যায় প্রতিনিয়ত কিন্তু আজকের পৃথিবীতে শত কোটি মানুষের ভিড়ে কতজনই বা সত্যকে অনুসন্ধান করতে বাস্তব পন্থা অবলম্বন করে!
হযরত সালমান ফারসি রাদিয়াল্লাহু আনহু প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একনিষ্ঠ সহচর ও প্রিয়ভাজন সাহাবি ছিলেন। এর আগে তিনি এক ইহুদির কৃতদাস ছিলেন। ইসলামের আগমনের পর প্রিয়নবির কাছে এসে নবুয়্যতের সত্যতা পরখ করেই তবে ইসলাম গ্রহণ করেন।
হযরত সালমান ফারসির সে ঘটনা নবী সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মোহরে নবুয়্যত অধ্যায়ে বর্ণিত হয়েছে। যে ঘটনা মুসলমানদের ঈমানকে তাজা করে। আর তা ইসলামের সত্যতার এক জ্বলন্ত দৃষ্টান্তও বটে।
যে বোনটি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে তা একুশ শতকের পৃথিবীতে ইসলামের সত্যতার উজ্জল প্রমাণ চিত্র, যারা ইসলামের পথে আসতে চায় তাদের জন্য সমুজ্জল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। সূত্র: স্পোর্ট সার্ভ
-এটি