আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের ১৫৭ টি সদস্য দেশ । এ বিষয়ে একটি খসড়া প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে জাতিসংঘ।
এদিকে, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে 'সন্ত্রাসী' তকমা দিয়ে নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটেন।
এ সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়ে হামাস বলছে, তারা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। ফিলিস্তিনিদের ওপর বিদেশি হস্তক্ষেপ বাড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে ব্রিটেন।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে 'সন্ত্রাসী সংগঠন' আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে সংসদে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। সংগঠনটিকে কেউ সমর্থন করে হামাসের পতাকা উড়ালে কিংবা কোনো সভা-সমাবেশ করলে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল বলেন, হামাসের কাছে অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র আছে, উল্লেখযোগ্য সন্ত্রাসী কার্যকলাপেরও প্রমাণ আছে। তাই আমরা তাদের নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছি।
এ পদক্ষেপের কারণে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও ইইউ'র কাতারে চলে আসবে ব্রিটেন। এর আগে হামাসকে 'সন্ত্রাসী' তকমা দেয় ওই দেশগুলো। এখন পর্যন্ত হামাসের সামরিক শাখা আল কাসেম ব্রিগেডকে নিষিদ্ধ করেছে ব্রিটেন। এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের দাবি, পোশাক ভিন্ন হলেও হামাসের কার্যক্রম সন্ত্রাসীদের মতোই।
তবে ব্রিটেনের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়ে হামাস বলছে, ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্য যে অপরাধ করেছে তার ক্ষমা চাওয়ার পরিবর্তে এই আচরণ আক্রমণাত্মক। এমনকি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের অধিকারে বিদেশি হস্তক্ষেপ বাড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটেন।
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যে ঘোষণা দিয়েছেন সেটি পুরোপুরি আক্রমণাত্মক এবং গুরুতর অপরাধ। হামাস রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। এবার ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে বিদেশিদের উসকে দেওয়ার নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে ব্রিটেন।
১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় মুসলিম ব্রাদারহুডের শাখা হামাস। সংগঠনটি ইসরায়েলের বিরোধিতাসহ ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
-এএ