আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের কাডাপা জেলায় বানের পানিতে অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে ৫০ জনেরও বেশি। দেশটির তিনটি সরকারি বাস পানিতে ডুবেছে। উদ্ধারকার্য শুরু করেছে পুলিশ।
অতিবৃষ্টির ফলে রজমপেটা অঞ্চলে আন্নামাইয়া জলাধার উপচে পড়েছে। চেইইয়েরু ও পেঞ্চা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। তার ফলে জলাধারের পানির ক্ষমতা আর নেই। বন্যা পরিস্থিতির জেরে রজমপেটা অঞ্চলের আশেপাশের সব অঞ্চলই পানির তলায়। কাডাপা-তিরুপতি হাইওয়ে দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে পারছে না।
অতিবৃষ্টির ফলে তিনটি সরকারি বাস জলে ডুবে যায়। তিনটি বাসেই বেশ কয়েকজন যাত্রী ছিলেন। বাসগুলো ডুবে যাওয়ার ফলে যাত্রীরা নিখোঁজ। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। নান্দুলুরু অঞ্চলে আরও একটি বাস পানিতে ডুবে গিয়েছে। সেটিতেও বেশ কয়েকজন যাত্রী ছিলেন। এখানেও চলছে উদ্ধারকার্য।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রবল বৃষ্টির জেরে জলাধার উপচে পড়ায় রজমপেটার কাছে গুণ্ডলুরু, পুলাপাত্তুর, শেষামামবাপুরাম ও মাণ্ডাপল্লি গ্রামের বানভাসী অবস্থা। চেইইয়েরু নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে থাকায় বিস্তীর্ণ অঞ্চল জলের তলায়। বিশেষ করে নিচু অঞ্চলগুলো পানির নিচে। ফলে সমস্যায় পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। রজমপেটা ও নন্দালুরের মাঝে এক কিলোমিটার রেললাইন বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে এই অঞ্চল এখন কার্যত বিচ্ছিন্ন।
মাণ্ডাপল্লি, আকেপাডু, নন্দালুর অঞ্চলে বন্যার পানিতে ভেসে গিয়েছেন অন্তত ১৫ জন। খবর পেয়ে উদ্ধারকার্য শুরু করেছে এনডিআরএফ ও পুলিশ।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আরও বেশি মানুষ নিখোঁজ বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে মৃতের সংখ্যাও বাড়তে পারে। নন্দালুর থেকে তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
বেশিরভাগ বাড়িই পানিতে চলে যাওয়ায় বাসিন্দারা ছাদে উঠে আশ্রয় নিয়েছে। পানির তোড়ে ত্রাণকার্যও ব্যাহত হচ্ছে। বহু মানুষই এখনও ত্রাণ পাননি। বানভাসী মানুষজনকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়াও সম্ভব হচ্ছে না।
-এএ