আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সামি আল-মাউর নামে এক ফিলিস্তিনি যুবক ইসরায়েলি কারাগারে বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।খবর ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফার।
ফিলিস্তিনি বন্দির মৃত্যুতে অধিকৃত পশ্চিমতীরে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে।
এ ছাড়া ইসরাইলের কারাগারে চার মাসেরও বেশি সময় ধরে অনশনরত আরেক ফিলিস্তিনি বন্দির স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইসরাইলি চিকিৎসকরা। আরও চার ফিলিস্তিনি বন্দি ইসরাইলি বাহিনীর অবৈধ আটকাদেশের বিরুদ্ধে অনশন করছেন।
ইসরাইলের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ডিটেনশন পলিসি বা বিনাবিচারে আটক রাখার নীতির প্রতিবাদে ফিলিস্তিনি যুবক কাইদ আল-ফাসফুস গত চার মাসেরও বেশি সময় ধরে অনশন করে যাচ্ছেন।
ইসরাইলের বারজিলাই মেডিকেল সেন্টারে বর্তমানে ফাসফুসের চিকিৎসা চলছে। তার এক ভাইয়ের বরাত দিয়ে ফিলিস্তিনি তথ্য কেন্দ্র জানিয়েছে, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন— কাইদের রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে, যা শেষ পর্যন্ত তার মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
এ ছাড়া অনশনরত এই ফিলিস্তিনি বন্দি অনিয়মিত হার্টবিট, কিডনি সমস্যা ও লো ব্লাড প্রেসারে ভুগছেন এবং তার শরীরে ভিটামিন ও তরল পদার্থের মারাত্মক ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
ফিলিস্তিনের বন্দিবিষয়ক কমিশন এরই মধ্যে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ফাসফুসের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং তিনি যে কোনো সময় মারা যেতে পারেন।
৩৪ বছর বয়সি ফাসফুস গত ১২৪ দিন ধরে অনশন করছেন। ইসরাইলি কারাগারে বছরের পর বছর ধরে বিনাবিচারে ফিলিস্তিনি বন্দিদের আটক রাখার প্রতিবাদে তিনি এই অনশন শুরু করেছেন।
একই রকম প্রতিবাদ জানিয়ে আরও চার ফিলিস্তিনি বন্দি বর্তমানে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। এই পাঁচজনের মধ্যে ফাসফুস সবচেয়ে বেশি সময় ধরে অনশনে আছেন।
অপর চার অনশনরত ফিলিস্তিনি বন্দি হচ্ছেন— আলা’ আরাজ (৯৮ দিন), হিশাম আবু হাউয়াশ (৮৯ দিন), আইয়াদ হুরেইমি (৫২ দিন) এবং লুয়ায়ি আল-আসগর (৩৪ দিন)।
এনটি