আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের আগ্রাসন নিয়ে মন্তব্য করায় উপসাগরীয় কয়েকটি দেশের সঙ্গে টানাপড়েন চলছে লেবাননের। প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে চলমান এই কূটনৈতিক সঙ্কট সমাধানে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছে তুরস্ক। গতকাল মঙ্গলবার বৈরুত সফরে গিয়ে এ প্রস্তাব দেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগ্লু।
এদিন লেবাননের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ বোউ হাবিবসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় তিনি বলেন, লেবাননের সঙ্গে আরব উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্কটে বেদনাহত তুরস্ক। পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সংলাপ ও কূটনৈতিক উপায়ে এই সঙ্কট সমাধান করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত আঙ্কারা।
আল জাজিরা জানায়, ইয়েমেনে সৌদি আরবের ‘আগ্রাসন বন্ধের সময় এসেছে’ বলে গত আগস্টে মন্তব্য করেন লেবানিজ তথ্যমন্ত্রী জর্জ কোরদাহি। সেই সাক্ষাৎতার প্রকাশের পর দেশটির ওপর চরমভাবে ক্ষিপ্ত হয় দেশগুলো। বৈরুতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের দেশে ফিরিয়ে আনে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত ও বাহরাইন। পাশাপাশি এসব দেশ থেকেও লেবানিজ রাষ্ট্রদূতদের বহিষ্কার করা হয়।
এ ছাড়া লেবানন থেকে সকল পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করে রিয়াদ। ফলে সংকট সমাধানে আলোচনার প্রস্তাব দেয় লেবানন কর্তৃপক্ষ। তাতে সাড়া না পাওয়ায় উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতায় মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছিল কাতার। তাতেও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি না হওয়ায় এবার এই প্রচেষ্টায় যুক্ত হলো তুরস্কও।
এই সফরে লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন, স্পিকার নাবিহ বেরি ও অর্থমন্ত্রী আমিন সালামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সাক্ষাতের কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতির সঙ্গেও। এসব বৈঠকে অর্থনৈতিক সঙ্কটে থাকা বৈরুতকে অব্যাহত সমর্থন দেয়ার প্রতিশ্রুতির কথা জানান কাভুসোগ্লু।
এদিকে, নজিরবিহীন এমন চাপের মুখেও পদত্যাগ করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন জর্জ কোরদাহি। সৃষ্ট পরিস্থিতিকে ‘মারাত্মক অবস্থা’ আখ্যায়িত করে তিনি নিশ্চিত করে বলেন, চাপের মুখে তার অবস্থান পরিবর্তন হবে না, ফলে আগের অবস্থানেই স্থির রয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে, লেবাননের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আপাতত প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ। উল্টো দেশটিকে হিজবুল্লাহ ও ইরানের প্রভাব থেকে বের করে আনতে লেবানিজদের উস্কানি দেন তিনি।
-এটি