আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজ শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান তুরস্ক সফর করতে যাচ্ছেন। আমিরাত এবং তুরস্কের মধ্যে কয়েক বছরের উত্তেজনার পর তিনি এই সফরের পরিকল্পনা নিয়েছেন।
গতকাল সোমবার আঞ্চলিক দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের মধ্যকার সম্পর্ক মেরামত করার লক্ষ্য নিয়ে মূলত তিনি এই সফর করবেন বলে তুরস্কের দুই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
তুরস্কের এক কর্মকর্তারা জানান, আগামী ২৪ নভেম্বর আরব আমিরাতের যুবরাজ তুরস্ক সফর করবেন এবং সে সময় তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সঙ্গে তার বৈঠক করার কথা রয়েছে। তবে অন্য এক কর্মকর্তা জানাৃন, সফরের তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয় নি।
এক দশক আগে কথিত আরব বসন্ত বা ইসলামী জাগরণ শুরুর পর মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব বিস্তারের লড়াইয়ে নামে তুরস্ক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। এর অংশ হিসেবে লিবিয়ার গৃহযুদ্ধে দুই দেশ পরস্পরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, একইভাবে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের রাজনীতিতেও দু দেশের অবস্থান দুই মেরুতে। শুধুমাত্র সিরিয়া ইস্যুতে দু দেশের অবস্থান অনেকটা এক বিন্দুতে ছিল।
গত আগস্ট মাসে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান জানান, তার দেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নত হচ্ছে যার ধারাবাহিকতায় আমিরাত তুরস্কে বড় ধরনের বিনিয়োগ করতে পারে। আমিরাতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শেখ তাহনুন বিন জায়েদ আল-নাহিয়ানের সঙ্গে এক অসাধারণ বৈঠকের পর এরদোগান এই বক্তব্য রাখেন।
এই বৈঠকের দুই সপ্তাহ পর তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। জায়েদ আল-নাহিয়ান কার্যত সংযুক্ত আরব আমিরাতের শাসক।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তুরস্কের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জায়েদ আল-নাহিয়ান এবং প্রেসিডেন্ট এরদোগান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাণিজ্য, আঞ্চলিক ঘটনাবলী এবং বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা করবেন।
-এটি