আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: নভেম্বর মাসের ১০ তারিখ থেকে তেলের দাম কমতে শুরু করেছে। সর্বশেষ রোববার (১৪ নভেম্বর) ব্যারেল প্রতি তেলের দাম ছিল ৮০.৬৯ ডলার।
করোনাকালে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি শূন্য ডলারের নিচে নেমে গেলেও পরিস্থিতি স্বভাবিকের সাথে সাথে হু হু করে বাড়তে শুরু করে তেলের দাম। অক্টোবরের শেষে তেলের দাম এসে দাঁড়ায় ব্যারেলপ্রতি ৮৫ ডলারে যা ছিল সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রেকর্ড।
তবে আশার কথা হচ্ছে, বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমতে শুরু করেছে। গত চার দিনে তেলের দাম চার ডলার কমে বর্তমানে প্রতি ব্যারেল তেল বিক্রি হচ্ছে ৮০.৬৯ ডলারে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউএস ফেডারেল রিজার্ভ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সুদের হার বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে। আর এ খবরে গত সপ্তাহের উত্তাল জ্বালানি তেলের বাজার নিম্নমুখী হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানিবিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিস্ট্যাড এনার্জির জ্যেষ্ঠ বাজার বিশ্লেষক লুইস ডিকসন বলেন, জ্বালানি তেলের উত্তাল বাজার নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে। এটা একটা ভালো খবর। আরও ভালো খবর এই যে, তেলের বাজার কেবল সরবরাহ-চাহিদা গতিপথ দ্বারা প্রভাবিত হয় না, বরং আর্থিক নীতির পূর্বাভাস এবং সরকারি হস্তক্ষেপের মাধ্যমেও প্রভাবিত হয়।
রোববার অপরিশোধিত ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম আগের দিনের চেয়ে ৯০ সেন্ট কমে ব্যারেলপ্রতি ৮০ দশমিক ৭৯ ডলারে বিক্রি হয়েছে। আর ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচারের দাম ৭০ সেন্ট কমে ব্যারেলপ্রতি ৮২ দশমিক ১৭ ডলারে বিক্রি হয়েছে।
প্যারিসভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি বা আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার (আইইএ) পূর্বাভাস অনুসারে তেলের দাম বছর শেষে আরও কমতে পারে। চলতি বছর জানুয়ারি মাসে জ্বালানি তেলের দাম ছিল গড়ে প্রতি ব্যারেল ৪৯ ডলার। ফেব্রুয়ারি মাসে ৫৩ ডলার, মার্চে ৬০, এপ্রিলে ৬৫, মে মাসে ৬৪, জুনে ৬৬ ডলার, জুলাইয়ে ৭৩ ডলার এবং আগস্টে গড়ে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ছিল ৭৪ ডলার। অক্টোবর মাসে এই দাম ৮৫ ডলার ছাড়িয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছিল শিগগিরই তা ১০০ ডলার হয়ে যাবে।
নভেম্বরে এসে তেলের দাম ধীরে ধীরে নিম্নমুখী হচ্ছে। এদিকে তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশ সরকার চলতি মাসের চার নভেম্বর ডিজেল এবং কেরোসিনের দাম ১৫ টাকা বৃদ্ধি করেছে।
-এএ