আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক স্বার্থ রক্ষা করবে কাতার। শুক্রবার কাতারের রাজধানী দোহায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমানের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। খবর রয়টার্স’র।
মার্কিন প্রশাসনসহ পশ্চিমা দেশগুলো যখন তালেবান সরকারের সঙ্গে কীভাবে কাজ করবে সেই উপায় বের করতে হিমশিম খাচ্ছে, ঠিক তখন আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক প্রতিনিধি হিসেবে কাতারের নাম ঘোষণা করলো ওয়াশিংটন।
এর মাধ্যমে দুই দশকের যুদ্ধের পর কাবুল ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্ভাব্য সরাসরি যোগাযোগের একটি নতুন দ্বার উন্মোচিত হলো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
শুক্রবার কাতারের রাজধানী দোহায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমানের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন।
এদিন দু'দেশের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যেখানে বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষার জন্য কাতার সরকার কাজ করবে। পাশাপাশি তারা সীমিত পরিসরে কনুস্যুলেট সেবা প্রদান করবে। এরমধ্যে থাকবে পাসপোর্ট আবেদন গ্রহণ, জরুরি সহায়তা প্রদান, তথ্য প্রদান করা।’ আগামী ৩১ ডিসেম্বর থেকে এই চুক্তি কার্যকর হবে জানা গেছে।
অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন বলেন, আজকে আমরা দুটি বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। প্রথমত, এখন থেকে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক প্রতিনিধিত্ব করবে কাতার। দ্বিতীয়ত, ওয়াশিংটন ও আফগানিস্তানে মধ্যে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগের সুবিধার্থে কাতারে ট্রান্সিট পয়েন্ট খোলার বিষয়ে একমত হয়েছি।
-এএ