আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এক রাশ স্বপ্ন নিয়ে বাংলায় স্নাতকোত্তর শেষ করেছিলেন এই যুবক। কিন্তু মেলেনি চাকরি। তাই জীবিকার তাগিদে খুলে ফেলেন চপের দোকান। সেই দোকান থেকেই হচ্ছে তার রুটি-রুজির ব্যবস্থা।
শুক্রবার একটি ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের যুবক বিশ্বজিত কর ২০০৮ সালে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ২০১০ সালে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জন করেন স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। তারপর নানা ভাবে চাকরির চেষ্টা করেছেন তিনি। পাশাপাশি গৃহশিক্ষকতাও করতেন। টেট পাশ করেও স্কুলের চাকরি পাননি এই যুবক।
তবে ২০১৬ সালে তিনি গ্রামীণ সম্পদ কর্মীর চাকরি পান । দৈনিক ১৭৫ রুপি বেতনে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছিল। তাই বান্দোয়ান বন বিভাগে অফিসের সামনেই টংয়ের দোকানে চপ বিক্রি করতে শুরু করেন বিশ্বজিত।
অনেক দিন আগে পশ্চিমবঙ্গে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের মুখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় চপের ব্যবসা করে কর্মসংস্থানের কথা বলেছিলেন। তা নিয়ে উত্তাল হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি।
তবে চপের ব্যবসা করেও যে দিব্যি সংসার চালানো যায় সেটাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন বিশ্বজিত। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, অনেক দিন ধরেই শুনছি চাকরি নেই তাই চপ ভাজার কথা। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন। তা নিয়ে অনেক আন্দোলনও হয়েছে। কিন্তু হাতে কলমে করে বুঝতে পারছি খুব ভুল বলেননি মুখ্যমন্ত্রী। দিন হাজার দুয়েক রুপি বিক্রি হয়। সব খরচখরচা তুলে হাতে থাকে শ’পাঁচেক রুপি। মন্দ কী?
বিশ্বজিতের চপের দোকানে আলুর চপ, পেঁয়াজি, স্যান্ডউইচ চপ, মাংসের চপের পাশাপাশি পাওয়া যায় রুটি ঘুগনি, ডিম ভাজাও। আর সাহিত্যের ছাত্রের চপের প্রশংসায় অবশ্য পঞ্চমুখ ক্রেতারা।
এনটি