শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
অ্যাডভোকেট আলিফের কবর জিয়ারত ও পরিবারের পাশে হেফাজতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ  প্রাইমারি স্কুলে আলেম ধর্মীয় শিক্ষক বাধ্যতামূলক করতে হবে: মাওলানা ইসলামাবাদী বগুড়ায় ছাত্র আন্দোলনে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা শেরপুরে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে স্মরণসভা শেরপুরে শেখ হাসিনাসহ ৫৯ জনের নামে মামলা কাল বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন জামায়াত আমীর হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ল ১৫ দিন রাষ্ট্রদ্রোহী সংগঠন চলতে দেয়া হবে না: মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী ২২৫০০ কোটি নতুন টাকা ছাপিয়ে ৬ ব্যাংককে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

কাশ্মীরে ২ জনকে গুলি করে হত্যা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কাশ্মীরে গত মাস থেকে শুরু হওয়া সন্দেহভাজন হত্যার তালিকায় যোগ হয়েছে আরও দুই জন। সন্দেহভাজন বিদ্রোহীদের গুলিতে একজন পুলিশ কর্মকর্তা এবং স্থানীয় একজন শ্রমিক নিহত হয়েছে।

কাশ্মীরের বান্দিপুর জেলার আস্তেনগো এলাকার বাসিন্দা মুহাম্মদ ইব্রাহিম খান। সোমবার (৮ নভেম্বর) শ্রীনগরের বোহরি কাদাল এলাকায় একাটি মুদি দোকানের পাশে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বিদ্রোহীরা। এতে গুরুতর আহত হয় ইব্রাহিম। পাশে থাকা দোকানের মালিক তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই সে মারা যায়। পুলিশ এক বিবৃতিতে একে “সন্ত্রাসী ঘটনা” বলে অভিহিত করেছে।

এদিকে রোববার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তৌসিফ আহমেদ (২৯) নামের একজন পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা করা হয়েছে। শ্রীনগরের প্রাণকেন্দ্র বাটামালু এলাকায় তার বাড়ির পাশে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় তৌসিসের স্ত্রী স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আমি তাকে বাসায় আসতে বলি। সে আমাকে বলেছিল যে বাচ্চাদের জন্য ক্যান্ডি কিনে আসছে। ১৫ মিনিট পর আমার দেবরের একটি কল আসে এবং জানায় আমার স্বামীকে গুলি করা হয়েছে’।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কোনো কিছু চাই না। "শুধু জানতে চাই কারা তাকে হত্যা করেছে। কি দোষ ছিল আমার স্বামীর"?’ দুই সন্তানকে পাশে রেখে এভাবেই প্রশ্ন করে যাচ্ছেন তিনি।

কাশ্মীরের হিমালয় অঞ্চল ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিভক্ত রয়েছে এবং সেই অনুযায়ী সেখানে শাসন করা হয়। ১৯৮৯ সালের বিদ্রোহের পর থেকে বিদ্রোহীরা পাকিস্তানের সাথে একীভুত হয়ে কাশ্মীরকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করে।

কিন্তু ভারতে মোদি সরকারের শাসনামলে ২০১৯ সালে এই অঞ্চলের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করে এবং এটিকে দুটি ফেডারেল-চালিত অঞ্চলে বিভক্ত করে দেয়। এতে সংঘর্ষ আরও তীব্র হতে শুরু করে। এতে সেই সময় শত শত কাশ্মীরি নেতা কর্মী, আইনিজীবি, যুবকদের গ্রেফতার করে জেলে রাখা হয়।

সম্প্রতি, সন্দেহভাজন বিদ্রোহীদের দ্বারা হত্যার একটি নতুন তরঙ্গ তৈরি হয়েছে। এতে কাশ্মীরি হিন্দুদের লক্ষ্য করা হচ্ছে। গতমাস থেকে এই অঞ্চলে ১০ জন সৈন্য, ১৩ জন বেসামরিক নাগরিক এবং ১৯ জন সন্দেহভাজন বিদ্রোহীসহ মোট ৪২ জনকে হত্যা করা হয়েছে।

এমন হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই অঞ্চলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং নিরাপত্তাবাহিনী বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযান জোরদার করেছে। একই ঘটনার জের ধরে এখন পর্যন্ত বিদ্রোহীদের সাথে ভারতেরও ১১বার বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ