আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অর্থনৈতিক সংকট কাটানোর কথা উল্লেখ করে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে পাকিস্তান। এক ঘোষণায় পেট্রোলিয়াম পণ্যের দাম লিটার প্রতি আট রুপির বেশি বাড়িয়েছে দেশটির সরকার। এদিকে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে ইমরান খানের পদত্যাগ দাবি করেছে দেশটির বিরোধী দলগুলো।
গত বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) এক ঘোষণায় পাকিস্তানে জ্বালানি তেলের দাম প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় কম বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বাংলাদেশে বেশি দামে পেট্রোল বিক্রি হচ্ছে উল্লেখ করে নিজ দেশে তেলের দাম বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
ওই দিন রাতেই দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি ও কার্যকরের ঘোষণা দেয়। দেশটিতে শুক্রবার (৫ নভেম্বর) থেকে পেট্রোলের দাম ৮ দশমিক ০৩ রুপি বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ দশমিক ৮২ রুপিতে। ডিজেলের দাম ৮ দশমিক ১৪ রুপি বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪২ দশমিক ৬২ রুপিতে। এবং কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি ৬ দশমিক ২৭ রুপি বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১১৬ দশমিক ৫৩ রুপিতে।
এক লাফে এত টাকা বাড়ানোয় সরব হয়েছে দেশটির বিরোধী দলগুলো। পার্লামেন্টে ইমরান খানের কড়া সমালোচনা করেছেন তারা। সরকারের এমন ঘোষণা দরিদ্র মানুষের জীবনকে অসহনীয় করে তুলেছে দাবি করে ইমরান খানের পদত্যাগ চেয়েছেন বিরোধীরা।
দেশটির চলমান অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে সরকার। এমনকি পাকিস্তানের ইতিহাসে এই প্রথম জ্বালানি তেল ১১০ রুপির বেশিতে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় বাংলাদেশ ও ভারতে সম্প্রতি তেলের দাম বেড়েছে।
-এএ