আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আসন্ন শীতকালে তীব্র খাদ্য সংকটে থাকা উত্তর কোরিয়ায় দুর্ভিক্ষও ধেয়ে আসছে। বিবিসি শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
দেশটি থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় পালিয়ে যাওয়া অনেকেই বলছেন, উত্তর কোরিয়ায় থাকা তাদের পরিবার ও স্বজনরা অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। তার মধ্যে শীত আসার এ সময়ে দেশটির সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় থাকা মানুষদের অনাহারে দিন কাটানো নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যম ডেইলি এনকের প্রধান সম্পাদক লি স্যাং ইয়ং জানান, উত্তর কোরিয়ার রাস্তায় অনাথ শিশুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়া এবং অনাহারে মৃত্যুর খবরও পাওয়া যাচ্ছে। খাদ্য সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করায় নিম্নশ্রেণির মানুষেরা আরও বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ায় সবসময়ই খাদ্য স্বল্পতা পরিস্থিতি মোকাবেলায় হিমশিম খেয়েছে। তবে করোনা মহামারি পরিস্থিতিকে আরও খারাপের দিকে নিয়ে গেছে। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন দেশটির বর্তমান পরিস্থিতিকে ১৯৯০ এর দশকের দুর্ভিক্ষের সঙ্গে তুলনা করেছেন। সে সময় অনাহারে হাজারও মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
এদিকে, কয়েকদিন আগেই একটি ব্রিটিশ গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, তীব্র খাদ্য সংকটের দিকে, কারণে দেশটির কর্মকর্তারা জনগণকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত কম খাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।তবে দেশটির জনগণ অভিযোগ তুলেছে তিন বছর তো পরের কথা এই খাদ্য সংকট নিয়ে শীতকাল পার করাও তাদের জন্য কষ্টকর হয়ে যাবে।
পরমাণু অস্ত্র ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার খড়গ ঝুলছে উত্তর কোরিয়ার ওপর। যা দেশটির অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে ভারি বর্ষণ ও বন্যার কারণে দেশজ উৎপাদনও তলানিতে ঠেকেছে। যা ধুঁকতে থাকা অর্থনীতির অবস্থা আরও খারাপের দিকে নিয়ে গেছে।
করোনা মহামারির কারণে উত্তর কোরিয়া প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে নিজেদের সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। ফলে নিষেধাজ্ঞার বাইরে যেসব দেশের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার আমদানি-রফতানি চালু ছিল তাও বন্ধ হয়ে যায়। এসবের কারণে দেশটিতে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি পর্যন্ত দেখা দেয়।
২০২৫ সালে চীনের সঙ্গে সীমান্ত খুলে দেবে উত্তর কোরিয়া।
এনটি