আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ানের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়েছে টুইটারে। তার মৃত্যু সম্পর্কে হ্যাশট্যাগ দেওয়ায় দেশটির নিরাপত্তা অধিদপ্তর গতকাল বুধবার ৩০ জনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
বলা হচ্ছে, যারা টুইটারে একটি হ্যাশট্যাগের অধীনে এরদোয়ানের স্বাস্থ্য সম্পর্কে মন্তব্য করেছে, তারা ইঙ্গিত দিয়েছে এরদোগান মারা গেছেন। তুর্কি গণমাধ্যমে এসব তথ্য জানা গেছে।
৬৭ বছর বয়সী এরদোয়ানের স্বাস্থ্য নিয়ে তুরস্কে জল্পনা-কল্পনা চলছে। গত কয়েক মাস ধরে জনসমক্ষে বা ভিডিওতে শারীরিক অসুবিধা নিয়ে তাকে হাঁটতে দেখা গেছে। রাষ্ট্রপতির একটি ভিডিও প্রচারিত হওয়ার পর সোমবার সন্ধ্যায় গুজবটি আরও জোরালো হয়।
মন্তব্যকারীরা বলছেন, এরদোগানকে ২৯ অক্টোবর তার রাষ্ট্রপতির প্রাসাদে প্রজাতন্ত্র দিবসের অভিনন্দন গ্রহণ করার পরে শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে হাঁটতে দেখা গেছে। পরে টুইটারে তার মৃত্যুর খবর ব্যাপকভাবে চাউর হয়।
খবরে বলা হচ্ছে, এরদোগানকে শেষবার জনসম্মুখে দেখা গিয়েছিল গত রোববার, যখন তিনি রোমে জি-২০ সম্মেলনের সাইডলাইনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেনের সাথে দেখা করেছিলেন। এরপর তিনি নিরাপত্তা প্রোটোকল নিয়ে বিরোধের কথা উল্লেখ করে গ্লাসগোতে কপ২৬ জলবায়ু সম্মেলনে তার পরিকল্পিত উপস্থিতি বাতিল করেন।
ক্ষমতাসীন দলের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এরদোগানের ব্যর্থতার কারণে সর্বশেষ জল্পনাটি বেশি চাউর হয়েছে। গতকাল বুধবার এরদোগানের ক্ষমতায় উত্থানের ১৯তম বার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।
খবরে বলা হচ্ছে, তুরস্কের দণ্ডবিধির ২৯৯ ধারা অনুসারে রাষ্ট্রপতিকে অপমান করা একটি অপরাধ। রাষ্ট্রপতিকে অপমান করলে তার চার বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। গণমাধ্যম ব্যবহার করে এ অপরাধ সংঘটিত হলে সাজা আরও বাড়ানো যেতে পারে।
-এটি