আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আফগানিস্তানের নারীরা আবারো শিক্ষাঙ্গনে ফিরতে পারে এমন আশাবাদের কথা জানিয়েছে তালেবান। কর্মকর্তারা বলছেন, নারী শিক্ষা পুরোপুরি বন্ধের কোনও পরিকলপনা নেই।
কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে একসময় যেখানে শিক্ষার্থীদের কোলাহল দেখা যেতো, এখন সেখানে তালেবান সদস্যদের সশস্ত্র পাহারা। অনুমতি নেই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীদের নিজে ক্যাম্পাসে প্রবেশেরই। তবে ধীরে ধীরে সব স্বাভাবিক করার আশ্বাস দিয়েছে তালেবানরা।
স্কুলছাত্রী সাহারা বলেন মেয়েদের স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর শূন্য ক্লাসরুমে ক্লাসের দিনগুলো খুজেঁ বেড়ায় সে। আর বাড়িতে বসে অনলাইনে ক্লাস ও শিক্ষা কার্যক্রম চালালেও, তাতে তৃপ্ত নয় সে।
তিনি বলেন, দুই মাসের বেশি হয়ে গেল আমার স্কুলে যাওয়া বন্ধ। খুব মিস করছি আমার ক্লাসরুম, শিক্ষক আর বন্ধুদের। যেকোন মূল্যে আমি স্কুলে যেতে চাই। যাতে আমার স্বপ্ন পূরণ করতে পারি এবং দেশের কাজে লাগতে পারি।
ক্ষমতা দখলের পর শুধুমাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেয়ে শিশুদের শিক্ষাঙ্গনে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে তালেবান। নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে কর্মজীবি নারীদের কর্মক্ষেত্রে প্রবেশেও। যদিও,আফগান নারীদের একটি অংশ তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছে। এ অবস্থায় তালেবান কর্মকর্তা জানালেন, নারী শিক্ষার বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহায়তা কর্মসূচির পরিচালক ওয়াহিদুল্লাহ হাসিমি, মেয়েদের জন্য স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়টি বিবেচনা করছি আমরা। এটা পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হয়নি। আমাদের নিয়মের মধ্যে থেকেই কিভাবে সেটা করা যায়,তা নিয়েই কাজ করছি।
জাতিসংঘ বলছে, ২০১৮ সালের জরিপ অনুযায়ী, ৪০ শতাংশেরও কম আফগান নারী শিক্ষার আলো পেয়েছে। যদিও তখন পর্যন্ত পশ্চিমা সমর্থিত সরকার ক্ষমতায় ছিল।
-এটি