আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলের বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ১৫ ব্যক্তিকে আটক করেছে তুরস্ক। বৃহস্পতিবার তুরস্কের ডেইলি সাবাহ সংবাদমাধ্যম সর্বপ্রথম এই সংবাদ প্রকাশ করে।
খবরে বলা হয়েছে, আটককৃত ১৫ ব্যক্তি তিন ব্যক্তির সেলে বিভক্ত হয়ে ইসরায়েলের জন্য গোপন তথ্য সংগ্রহ করতো।
আটকের সঙ্গে সম্পৃক্ত তুরস্কের এমন দুই কর্মকর্তা মিডলইস্ট আইকে জানিয়েছেন, আটককৃতরা তুরস্কে বসবাসকারী ফিলিস্তিনের শিক্ষার্থী ও তুরস্কের কর্মকর্তাদের গোপন তথ্য সংগ্রহ করে ইসরায়েলকে দিত। আটককৃতদের মধ্যে ফিলিস্তিন এবং সিরিয়ার নাগরিকও রয়েছে।
সেপ্টেম্বর মাসে তুরস্কে ৬ জন ফিলিস্তিনি নিখোঁজ হয়। আটককৃতদের মধ্যে তারাও রয়েছেন।
আটককৃত এক গুপ্তচরের নামের প্রথম অক্ষর এম। মিডলইস্ট আইয়ের কাছে টেলিফোনে এক সাক্ষাৎকারে অভিযুক্ত এই মোসাদের গুপ্তচরের ভাই বলেন, তার ভাই (এম) কিছু দিন আগে তাকে নক দিয়ে একজন আইনজীবী ঠিক করতে বলেছিল। কারণ সে তুরস্ক পুলিশের কাস্টডিতে বন্দি ছিল।
অভিযুক্ত মোসাদের গুপ্তচরের ভাই আরও বলেন, মিডিয়ায় তুরস্কের পুলিশ যা বলেছে তা আমি শুনেছি। কিন্তু এসব মিথ্যা। আমরা এখনো সত্যটা জানি না। আইনজীবী তাকে জানিয়েছেন, কিছু একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে এবং তার ভাই শিগগিরই মুক্তি পাবেন।
মিডলইস্ট আইয়ের খবরে বলা হয়, এম আদ্যক্ষরের এই গুপ্তচর বিগত ৯ বছর ধরে তুরস্কে বসবাস করছেন। তিনি তুরস্কের কোনিয়ার একটি মেডিকেলে স্নাতক শ্রেণির ছাত্র।
এই গুপ্তচরের পরিবার ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে বসবাস করে। তার (এম) আটকের খবর শুনে পরিবারের লোকজন বিস্মিত হয়েছে। তারা আর্থিকভাবে বেশ স্বচ্ছল, কী কারণে সে গুপ্তচরবৃত্তির সঙ্গে যুক্ত হলো সেটা তারা ভেবে পাচ্ছেন না।
আটককৃত ১৫ গুপ্তচরের সবাই শিক্ষার্থী নন। তাদের মধ্যে বিভিন্ন পেশার মানুষ রয়েছে।
এই গুপ্তচরেরা তুরস্কে অধ্যয়নরত ফিলিস্তিনের যেসব শিক্ষার্থীর সামরিক শিল্পে কাজ করার সম্ভাবনা রয়েছে এবং পাবলিক ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করতো, তাদের তথ্য সংগ্রহ করত। গত এক বছর ধরে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করছিল
এনটি