আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জায়ান্ট ফেসবুক ইনকরপোরেশন তাদের নাম পরিবর্তন করে নতুন নামে ব্র্যান্ডিং করার পরিকল্পনা করছে। নতুন নামের ঘোষণা আসতে পারে আগামী সপ্তাহে।
মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) নাম পরিবর্তনের সঙ্গে জড়িত একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য ভার্জ।
ভার্জের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতিবছর ফেসবুক তাদের কর্মীদের নিয়ে ‘কানেক্ট’ নামের একটি সম্মেলন করে। চলতি বছরের সম্মেলন আগামী ২৮ অক্টোবর হওয়ার কথা রয়েছে। ওই সম্মেলনে ফেসবুকের প্রধান কর্তা মার্ক জাকারবার্গ নাম পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে। তবে তার আগেই হয়তো নতুন নাম জানা যেতে পারে।
যদিও আন্তর্জাতিক সংস্থা রয়টার্স ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে, এবিষয়ে তারা কোনো মন্তব্য করে নি।
তবে ধারণা করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহে এ পরিবর্তন আসতে পারে। ফেসবুকের নতুন নাম হতে পারে মেটাভার্স। মূলত নিজেদের পুনর্গঠিত করতেই ফেসবুকের এ নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ।
ভার্জের প্রকাশিত প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, ফেসবুকের অধীনে রয়েছে ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, অকুলাসের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আরও বেশ কয়েকটি অ্যাপ। নতুন নামের ব্র্যান্ডিংয়ের ফলসরূপ ফেসবুক ইনকরপোরেশনের এ অ্যাপগুলো একটি মূল কোম্পানির অধীনে চলে আসবে।
সিলিকন ভ্যালির কোম্পানিগুলোর নাম পরিবর্তনের ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। সেবার পরিসর বাড়াতে এ আগেও এমনটা হয়েছে।
২০১৫ সালে গুগল অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশনকে হোল্ডিং কোম্পানিতে রূপান্তর করেছিল। এ পিছরে তাদের লক্ষ্য ছিল সার্চ ও বিজ্ঞাপন ব্যবসার পরিসর বৃদ্ধি করা।
দ্য ভার্জের তথ্য মতে, ফেসবুকের তথাকথিত মেটাভার্স কোম্পানি গঠনের লক্ষ্যে মূলত এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ফেসবুক এ জন্য ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) ও অগমেন্টেড রিয়েলিটি (এআর) খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে। বিভিন্ন ডিভাইস ও অ্যাপের মাধ্যমে নিজেদের প্রায় ৩০০ কোটি ব্যবহারকারীকে যুক্ত করাই এর লক্ষ্য।
মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) আগামী পাঁচ বছরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলো থেকে ১০ হাজার জন নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানায় ফেসবুক। মেটাভার্স প্রযুক্তি তৈরির কাজে এই কর্মীরা সাহায্য করবেন।
মার্ক জাকারবার্গ গত জুলাই থেকে মেটাভার্স নিয়ে কথা বলছেন। তিনি বলেছিলেন, মেটাভার্স ধারণায় ফেসবুকের ভবিষ্যৎ লুকিয়ে আছে।
এনটি