শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
অ্যাডভোকেট আলিফের কবর জিয়ারত ও পরিবারের পাশে হেফাজতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ  প্রাইমারি স্কুলে আলেম ধর্মীয় শিক্ষক বাধ্যতামূলক করতে হবে: মাওলানা ইসলামাবাদী বগুড়ায় ছাত্র আন্দোলনে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা শেরপুরে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে স্মরণসভা শেরপুরে শেখ হাসিনাসহ ৫৯ জনের নামে মামলা কাল বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন জামায়াত আমীর হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ল ১৫ দিন রাষ্ট্রদ্রোহী সংগঠন চলতে দেয়া হবে না: মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী ২২৫০০ কোটি নতুন টাকা ছাপিয়ে ৬ ব্যাংককে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করবে তালেবান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: রাশিয়া, চীন ও ইরানের সঙ্গে আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করতে সম্মত হয়েছে তালেবান। গত বুধবার এ বিষয়ে তাদের সম্মতির কথা জানায় তালেবান প্রতিনিধিদল।

এর আগে রাশিয়ার পক্ষ থেকে সতর্ক করে বলা হয়, আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ তালেবানের হাতে যাওয়ার পর থেকে ইসলামিক স্টেট ও মাদক চোরাচালানের ঝুঁকি বেড়ে গেছে।

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় আয়োজিত এক বৈঠকে অংশ নেয় তালেবান। গত আগস্টে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর এটাই ছিল তালেবানের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বড় ধরনের কোনো বৈঠকে অংশগ্রহণের ঘটনা। এই বৈঠকে আরও ১০টি দেশ অংশ নেয়।

বৈঠকে অংশ নেওয়া দেশগুলোর পক্ষ থেকে আফগানিস্তানে জরুরি মানবিক সাহায্যের আহ্বান জানানো হয়। এ ছাড়া যেসব দেশ আফগানিস্তান থেকে সম্প্রতি সৈন্য প্রত্যাহার করেছে, তাদের দেশটির পুনর্গঠন প্রচেষ্টায় তহবিল জোগানোর কথা বলা হয়।

গত বুধবার মস্কোর আলোচনায় অংশ নেওয়া দেশগুলোর এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, তারা তাদের কার্যকলাপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে। এ ছাড়া আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় আফগানিস্তানে নিরাপত্তা নিয়ে তাদের ইচ্ছার বিষয়টিও পুনর্ব্যক্ত করছে।

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ওই বৈঠকে মার্কিন কর্মকর্তাদের উপস্থিত না থাকার সমালোচনা করেন। তিনি এর আগে বলেছিলেন, আফগানিস্তানে নিরাপত্তা পরিস্থিতির যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে, তা আইএস ও আল-কায়েদা কাজে লাগানোর সুযোগ খুঁজছে।

মস্কোর বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে তালেবানের প্রতিনিধিদল ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। এরপর তারা আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি আদায়ে তুরস্ক সফর করে।

তালেবানের এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তালেবান সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী আবদুল সালাম হানাফি। তিনি তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আফগানিস্তানের বিচ্ছিন্নতা কোনো পক্ষের স্বার্থে নয়। এটি অতীতে প্রমাণিত হয়েছে।

আফগানিস্তানে ক্রেমলিনের দূত জমির কাবুলভ বলেছেন, সরকারি স্বীকৃতি তখনই আসবে, যখন তালেবান মানবাধিকার ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসনের প্রত্যাশা পূরণ করবে।

যৌথ বিবৃতিতেও রাশিয়ার কথার প্রতিফলন ঘটেছে। বৈঠকে অংশ নেওয়া দেশগুলোর পক্ষ থেকে তালেবানকে মধ্যপন্থী অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক নীতির চর্চা এবং প্রতিবেশীদের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ নীতি গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়। অভ্যন্তরীণ নীতির ক্ষেত্রে তালেবানকে সংখ্যালঘু, নারী ও শিশুদের অধিকারকে সম্মান জানাতে আহ্বান জানানো হয়।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ