আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: নিরাপত্তা ইস্যুতে নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা করার লক্ষ্যে একটি চুক্তি সই করেছে তুরস্ক ও ইরান। চুক্তিতে কৌশলগত সম্পর্ক বিস্তারের ওপর গুরুত্বারোপ, যৌথভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই এবং চোরাচালান মোকাবেলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে দুই প্রতিবেশী দুই দেশ।
ইরানের রাজধানী তেহরানে গতকাল বুধবার, ২০ অক্টোবর, দুই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠক করেন। ওই বৈঠকেই একটি সমঝোতা স্মারক বা এমওইউ সই করেন ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমাদ ওয়াহিদি এবং তুর্কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সোলায়মান সইলু। বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে করেন দুই মন্ত্রী। এ সময় তারা বৈঠকে নিজেদের মধ্যকার আলোচনা এবং চুক্তির বিষয়বস্তু সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করেন।
ইরানি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমাদ ওয়াহিদি সাংবাদিকদের বলেন, সকল ক্ষেত্রে সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয় নিয়ে তারা আলোচনা করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ, অস্ত্র ও মাদক চোরাচালান, সন্ত্রাসবাদ বিরোধী লড়াই এবং আন্তঃসীমান্ত বিনিময় ও যোগাযোগ।
তিনি আরো জানান, এ ছাড়া তাদের মধ্যে সাধারণ কিছু বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। যেমন— মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে সৃষ্ট সমস্যাবলী, যুক্তরাষ্ট্র ও দখলদার ইসরায়েলের ধ্বংসাত্মক ভূমিকা, আফগানিস্তানে তাদের সৃষ্টি করা সমস্যা এবং অত্র অঞ্চলে তাদের নানা ষড়যন্ত্রের বিষয় রয়েছে।
ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তুরস্কের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক বিস্তারের জন্য আঙ্কারা ও তেহরান যে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে, তাতে সকল ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করার ক্ষেত্রে এটিকে একটি শুভ সূচনা হিসেবেও উল্লেখ করেন তিনি।
আহমাদ ওয়াহিদি আরো বলেন, ইরান ও তুরস্কের সম্পর্কে গতি সঞ্চার হবে এবং দুই দেশ যৌথভাবে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করবে। যা শত্রুদের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে কাজ করবে। নিজেদের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করার সুযোগ উভয় দেশ কাউকে দেবে না।
অপরদিকে, সংবাদ সম্মেলনে তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির, পিকেকে, বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আঙ্কারাকে সহযোগিতা করবে তেহরান। একই সঙ্গে সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে দুই দেশ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।
সোলায়মান সইলু জানান, আফগানিস্তান থেকে নতুন করে ইরান ও তুরস্কে যে শরণার্থীর ঢল নেমেছে, সে বিষয়ে ইরানের দেওয়া জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবটি খতিয়ে দেখবে তুরস্ক। তুরস্ক ও ইরানের মধ্যকার সম্পর্ক চমৎকার বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
-এটি