আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: সাইপ্রাসের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ ও উস্কানি অব্যাহত রাখলে তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইইউ।
সংস্থাটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সোমবার, ১৮ অক্টোবর, এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। লুক্সেমবার্গে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটির ফরেন অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল। খবরটি দিয়েছে কিপ টকিং গ্রিস।
বৈঠকে ইইউর পররাষ্ট্র বিষয়ক উচ্চ নিরাপত্তা প্রতিনিধি জোসেপ বোরেল ইউরোপীয় কমিশনের প্রতি তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তুরস্ক অধিকৃত উত্তর সাইপ্রাস ও সাইপ্রাসের এক্সক্লুসিভ ইকোনোমিক জোনের মধ্যে নটিক্যাল জিও গবেষণা জাহাজের হয়রানির আলোকে তুরস্কের বিরুদ্ধে ওই সিদ্ধান্তের আহ্বান জানান তিনি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সম্মত হন, তারা ইউরোপীয় এক্সটারনাল অ্যাকশন সার্ভিসকে একটি বিকল্প ডকুমেন্ট প্রস্তুত করতে বলবেন। পরিস্থিতির বিশ্লেষণ ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ইচ্ছা থাকলে যাতে কাউন্সিল বিবেচনা করতে পারে এমন একাধিক পদক্ষেপের প্রস্তাবনা ডকুমেন্টে থাকবে।
বৈঠকের পর জোসেপ বোরেল ইউরোপীয় জাহাজের বিরুদ্ধে তুরস্কের হস্তক্ষেপকে অগ্রহণযোগ্য বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, তুরস্কের আচরণ সাইপ্রাসে উত্তেজনা সৃষ্টি করে এবং সাইপ্রাস সমস্যার নিষ্পত্তির জন্য আলোচনার পথ সুগম করতে বাধাগ্রস্ত করছে।
জোসেফ বোরেল সাইপ্রাস ও গ্রিস উভয়ের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে জানান, তুরস্কের বিরুদ্ধে প্রস্তাবিত ব্যবস্থাসহ বিকল্প পন্থা অবলম্বনের জন্য ইউরোপীয় বহিরাগত কর্ম পরিষেবা এবং ইউরোপীয় কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হবে, যা ইইউভুক্ত দেশগুলো সিদ্ধান্ত নেবে।
গ্রিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোস ডেনডিয়াস জোর দিয়ে বলেন, তুরস্কের উস্কানিমূলক আচরণের আলোকে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে অবশ্যই সীমা নির্ধারণ করতে হবে। বেলারুশের কর্মের সাথে যেমন সংহতি দেখানো হয়, তেমনি সাইপ্রাসের সাথেও সংহতি থাকতে হবে।
কাউন্সিলের সবার সম্মতিতে ধন্যবাদের সাথে প্রস্তাবটি গৃহীত হয়। কারণ কমপক্ষে নয় সদস্য রাষ্ট্র তুরস্কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পক্ষে জোরালো সমর্থন দেয়। কোনো দেশ আপত্তি করেনি।
-এটি