আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিরুদ্ধে আসা নানা অভিযোগের পর এর গতিবিধি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
তথ্য ফাঁস, ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা না থাকা, বিভেদ উস্কে দেয়ার মতো বিষয়গুলো নিয়ে জানানো হয়েছে উদ্বেগ। অচিরেই ফেসবুক সংকট দূর করতে না পারলে, হয়ত বন্ধই করে দেয়া হতে পারে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের নিত্যদিনের ব্যবহার্য্য এ মাধ্যমটি।
বর্তমান সময়ে ফেসবুক নিয়ে সমালোচনা বেশ তুঙ্গে। এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ। তাই রীতিমতো সতর্ক করা হয়েছে ফেসবুককে।
ফেসবুকের সাবেক কর্মী ফ্রান্সেস হাউগেন প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে গত সপ্তাহে যে সাক্ষ্য দেন, তার প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের কমার্স কমিটি ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গকে বিভিন্ন নথি সংরক্ষণ করতে বলেছে।
ফ্রান্সেস হাউগেন সিনেট কমিটির কাছে তথ্য-প্রমাণ দিয়ে অভিযোগ করেন, আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় প্ল্যাটফর্মটিকে নিরাপদ করে এমন পরিবর্তন আনতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে ফেসবুক।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ফেসবুক শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে পাশাপাশি সমাজে উস্কে দিচ্ছে বিভেদ। সব কিছু বিবেচনা করে সিনেটের কমার্স কমিটির সভাপতি ডেমোক্র্যাট দলীয় সিনেটর মারিয়া ক্যান্টওয়েল বলেন, ফেসবুক জনগণ, কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রক ও এই কমিটিকে ভুল পথে পরিচালিত করছে কিনা তা নিয়ে উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে হাউগেনের সাক্ষ্য।
ডিজিটাল ক্ষতি মোকাবিলায় এই কমিটি তদারকি অব্যাহত রাখবে এবং ভোক্তাদের গোপনীয়তা রক্ষা ও তথ্য নিরাপত্তার উন্নয়নে আইন অনুযায়ী কাজ করে যাবে।
সিনেটর মারিয়া ক্যান্টওয়েল ফেসবুককে তাদের অভ্যন্তরীণ গবেষণার নথি সংরক্ষণ করতে বলেছেন, যা হাউগেন দলিল হিসেবে দাখিল করেছেন। পাশাপাশি ১৮ বছরের নিচের শিশু-কিশোরদের ওপর এই প্ল্যাটফর্মের প্রভাব সংক্রান্ত তথ্যও সংরক্ষণ করতে বলেছেন তিনি।
ক্যান্টওয়েল আরও মনে করেন, বিভেদ সৃষ্টিকারী উপাদানের বিস্তার থেকে যে বিপদ হতে পারে, তা এরই মধ্যে প্রমাণিত। রোহিঙ্গা গণহত্যা যার অন্যতম প্রমাণ।
এনটি