আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, দেশের রাজনীতিতে সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হলে ওলামায়ে কেরামকে মূখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। ওলামায়ে কেরাম রাজনীতিতে পিছিয়ে থাকার কারণে আজ দুর্নীতিবাজরা দেশ শাসন করছে। ফলে দেশে কর্তৃত্ববাদী শাসন চলছে। তিনি বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্রে নেতৃত্ব দেওয়াটাও ওলামায়ে কেরামের দায়িত্ব। ইসলামী রাজনীতিতে সম্পৃক্ত না হলে, শোষিত-বঞ্চিত, মজলুম গণ-মানুষের পড়্গে ভূমিকা না রাখলে সমাজের নেতৃত্ব কোন দিনও জালেমের হাত থেকে আলেমদের হাতে আসবে না। যেখানে যতটুকু ওলামাদের নেতৃত্ব আছে সেখানে ততটুকু মানুষ শাšিত্মতে আছে। কাজেই ওলামাদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় উলামা মাশায়েখ-আইম্মা পরিষদ ঢাকা মহানগর দড়্গণি আয়োজিত নগর ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের ঢাকা দড়্গণি সভাপতি হাফেজ মাওলানা ইউনুছ ঢালীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাওলানা বাছির উদ্দিন মাহমুদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন-সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আলস্নামা নূরম্নল হুদা ফয়েজী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর দড়্গণি সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা কামাল উদ্দিন সিরাজ, মুফতী মুহিব্বুলস্নাহ কাসেমী, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী আব্দুল আজিজ কাসেমী, উত্তর সাধারণ সম্পাদক মুফতি মোহাম্মদুলস্নাহ আনসারী, মুফতী আজহারম্নল ইসলাম আজমী, মুফতী তারিক জামিল, মুফতী মুঈনুদ্দিন খান তানভীর, মুফতী জহির উদ্দিন রহমানী, মুফতী তৌহিদুল ইসলাম, মুফতী দেলোয়ার হোসাইন, মুফতী নোমান আল হোসাইনী, মুুফতী সালমান সাকী।
হাফেজ মাওলানা ইউনুছ ঢালীকে সভাপতি, মুফতী আজহারম্নল ইসলাম আজমী ও মুফতী তারিক জামিলকে সহ-সভাপতি, মাওলানা বাছির উদ্দিন মাহমুদকে সাধারণ সম্পাদক এবং মুফতী মুঈনুদ্দিন খান তানভীরকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ ঢাকা মহানগর দড়্গণি কমিটি ঘোষণা করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি।
মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, ওলামায়ে কেরামগণই হলেন ইসলামের প্রধান ব্যক্তি। তারাই রাসূল সাঃ থেকে ধারাবাহিক ভাবে উম্মাহকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। বিভিন্ন সময় জেল জুলুম নিপিড়ন সহ্য করে উম্মাহকে এগিয়ে নিয়েছেন। তিনি বলেন, উম্মাহকে নেতৃত্ব দেয়ার এই কাজ জটিল ও কঠিন, এখানে প্রতিটি ড়্গেেত্র বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের প্রয়োজন হয়।
বিশেষজ্ঞ নেতৃত্ব না হলে হোচট খাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ওলামারা দুনিয়াবি সম্পদ ও ড়্গমতাকে সর্বদাই এড়িয়ে চলেন। তারা নিবৃত্তে জাতি গঠনে কাজ করে যান। কিন্তু দুঃখের কথা হলো, ইসলাম বিরোধী কায়েমি স্বার্থবাদি শক্তি বারংবারই ওলামাদের ওপরে খড়গহ¯ত্ম হয়। গ্রেফতার, হামলা, মামলার মাধ্যমে দাঈ ও ওলামাদের হয়রানী করে। আতংক তৈরি করে দাওয়াহ-শিড়্গা ও আন্দোলনের পথকে রম্নদ্ধ করার চেষ্টা করে। যার পরিণতি কখনোই ভালো হয় না।
মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, নাগরিক অধিকার, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রড়্গা, জাতীয় সংস্কৃতি ও মন-মানসিকতা তৈরীতে ললামায়ে কেরাম দাওয়াত, শিড়্গা ও আন্দোলন এর সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যান। ওলামায়ে কেরাম ঘাম ঝড়ানো পরিশ্রমের মাধ্যমে সামাজিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন এবং নাগরিকদের নৈতিক ভাবে প্রশিড়্গতি করেন। সতর্ক ও তাকওয়ার সাথে কাজ করতে হবে এবং আবেগ-এর সাথে বিবেককে কাজে লাগাতে হবে।
আলস্নামা নূরম্নল হুদা ফয়েজী বলেন, ইসলামের রাজনৈতিক ইতিহাসে উলামাগণ জনগণের হয়ে শাসকদের সাথে ড়্গমতার ভারসাম্য রড়্গা করতেন। ওলামারা তাকওয়া, ত্যাগ, জ্ঞান ও আমলের মাধ্যমে সেই মর্যাদা অর্জন করে ছিলেন। বর্তমানেও উলামাদের সেই শান ও মর্যাদা অর্জন করতে হবে। তাকওয়া, ত্যাগ, জ্ঞান ও আমলের মাধ্যমে।
মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, ওলামায়ে কেরামের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা না থাকায় স্বাধীনতার ৫০ বছরে ওলামায়ে কেরাম নানা রকম হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এর মূল কারণ আমাদের চিšত্মার দুরত্ব। অতএব চিšত্মায় দুরত্ব কমিয়ে এনে উম্মাহর স্বার্থ চিšত্মায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
-এটি