শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
জুমার খুতবার আগে ব্রেন স্ট্রোক, রাতে ইন্তেকাল তরুণ ইমামের জামিয়া গহরপুরের ফুজালা ও প্রাক্তনদের আয়োজনে ‘মাহফিলে নূর’ সম্প্রীতির বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক সকল অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে: ছাত্র জমিয়ত চিন্ময়ের মুক্তি চাওয়া বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের উলম্ব অভিযান: রিজভী মতিঝিল থানা হেফাজতে ইসলামের কমিটি গঠন এডভোকেট হত্যার বিচার ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে চাঁদপুর পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ‘সংবিধানে কুরআন-সুন্নাহর সাথে সাংঘর্ষিক কোন কিছু রাখা যাবে না’ চাঁদপুর জেলা সিরাত সম্মেলন আগামীকাল, থাকছেন হেফাজত আমীর চট্টগ্রামে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে হেফাজতের বিক্ষোভ-সমাবেশে জনস্রোত মৌলভীবাজারে আইনজীবী হত্যা ও ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

‘করোনা চলে গেছে মনে করে উদাসীন হওয়া যাবে না’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: করোনার প্রকোপ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। দৈনিক মৃত্যু এখন চল্লিশের নিচে। শনাক্তের সংখ্যা দুই হাজারের কম এবং হারও ছয়ের কোটায়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সবই স্বাভাবিকভাবে চলছে। এই অবস্থায় করোনা চলে গেছে মনে করে উদাসীন হওয়া যাবে না বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

তারা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যবিধি না মানলে করোনা সংক্রমণ আবারও বাড়তে পারে। ডেল্টা ভেরিয়েন্টের তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

শুক্রবার এক ভার্চুয়াল সংলাপে ম্যাগসাইসাই পুরস্কারজয়ী বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ফেরদৌসী কাদরী বলেন, ‘বাংলাদেশে বর্তমানে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হার নিম্নমুখী হলেও খুব বেশি আশান্বিত হওয়ার কিছু নেই। গত কিছু দিন ধরে করোনার প্রকোপ কমে এলেও আবার যে তা বাড়বে না, সেই নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব নয়। অনেক দেশেই সংক্রমণ এভাবে কমে আবার বেড়ে যাওয়ার নজির রয়েছে। এর মতো অতি সংক্রামক ভাইরাস যে আর আসবে না, সেটা নিশ্চিত করে বলা যায় না।’

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেনিন চৌধুরী বলেন, ‘ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ হয়েছে। তৃতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ বেশি হয়। বাংলাদেশে অক্টোবরের শেষে বা নভেম্বরের শুরুতে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেই ঢেউয়ের আগে যদি আমরা এভাবে স্বাস্থ্যবিধির প্রতি উদাসীন হই, তাহলে পরিস্থিতি খারাপ হবে।’

তিনি বলেন, ‘সরকার ৮০ ভাগ নাগরিককে করোনার টিকা দেওয়ার কথা বলছে। কিন্তু এখনো তার রোডম্যাপ পরিষ্কার নয়। দ্রুত সবাইকে টিকা দিতে হবে।’

করোনার মতো মহামারি দুই থেকে ছয় বছর তার শক্তি বজায় রাখে, এরপর এর শক্তি কমে আসে বলে জানান আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর। আর এই করোনা ভাইরাস বারবার তার রূপ পরিবর্তন করছে, ফলে এটা থেকে কবে বিশ্ব মুক্তি পাবে তা নিশ্চিত করে বলার সময় আসেনি বলেও মনে করেন তিনি৷ তিনি বলেন, বারবার রূপ পরির্তনের কারণেই একটার পর একটা ওয়েভ আসছে।

ডা. এ এস এম আলমগীর বলেন, ‘তবে করোনা মহামারির মধ্যেও যেটা স্বস্তিদায়ক, তা হলো, এক বছরের মধ্যে এর টিকা আবিষ্কার হয়েছে। বাংলাদেশে আড়াই কোটি মানুষ প্রথম ডোজ পেয়েছে।’

তার মতে, সংক্রমণ কমলেও এখানো শতকরা পাঁচ ভাগের নিচে নামেনি। পাঁচ ভাগের নিচে নামলে সহনীয় বলা যায়। তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা তো আছেই। তাই স্বাস্থ্যবিধি সবাইকে মানতে হবে। ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মচারীদের ভ্যাকসিন দিয়েই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার নিয়ম বলে জানান তিনি।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ