আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, টাইম ম্যাগাজিনে বিশ্বের সেরা ৫০০ বা ১০০০ হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকাতে দেশের কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। দেশে আন্তর্জাতিক মানের একটিও বিশ্ববিদ্যালয় না থাকা দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, এককালে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড হিসেবে খ্যাতি পাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখন অস্তাচলে। শিক্ষা গবেষণায় বরাদ্দ আগের তুলনায় বাড়ানো হলেও তা এখনো চাহিদার তুলনায় কম বলে মনে করেন তিনি।
‘শিক্ষা : ২০৪১ সালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বাস্তবিক কৌশল’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ছাত্রনেতারা ক্যাম্পাস বা শিক্ষার্থীদের সমস্যা নিয়ে কোনো কর্মসূচি পালন করেন না। তারা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতি নিয়ে বেশি মাথা ঘামায়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যারা শিক্ষক, যারা মূল দায়িত্বে আছেন তারা প্রভাবশালী ছাত্রনেতাদের কথায় উঠেন আর বসেন। এই ব্যক্তিত্বহীনতা আমাদের শিক্ষকতার মর্যাদাকে ভীষণভাবে ক্ষুণ্ন করছে।
শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহান শিক্ষা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপকমিটি আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে বিভিন্ন জায়গায় লক্ষ করেছি যে, মেধা যোগ্যতাকে পাশ কাটিয়ে প্রভাবশালীদের তদবিরে নিয়োগ দেওয়া হয়। এভাবে খুবই বাজে দৃষ্টান্ত স্থাপিত হচ্ছে। আমরা যদি শিক্ষার মান বাড়াতে চাই তাহলে শিক্ষকতার মানও বাড়াতে হবে। এ ব্যাপারে যত্নশীল হবে হবে।
বিশ্ববিদ্যলয়ে পলিটিক্যাল রুমের সংস্কৃতি বন্ধ করার তাগিদ দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘অছাত্রদের পুনর্বাসনের জন্য এ পলিটিক্যাল রুম। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারাই মূলত এই গণরুম ও পলিটিক্যাল রুম চালান। এরা হলে ওঠার ব্যাপারে অনেক সমস্যা করেন। অনেকে বাণিজ্য করেন, এসব চিরতরে বন্ধ করতে হবে। শিক্ষায় গুণগতমান বৃদ্ধি ও উন্নয়ন আনতে এগুলো বন্ধ করতে হবে বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের।
এনটি