আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ হত্যা মামলায় আরও একজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইলের আদালতে মঙ্গলবার মামলার ৮ নম্বর সাক্ষী ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও মসজিদের ইমাম হাফেজ মো. আমিন এ সাক্ষ্য দেন। এ নিয়ে এ মামলায় ৮৩ জন সাক্ষীর মধ্যে পাঁচজন সাক্ষ্য দিলেন।
মেজর (অব.) সিনহা হত্যার প্রত্যক্ষদর্শী ইসমাইল আদালতকে বলেন, পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী ছটফট করতে থাকা সিনহার বুকে কয়েকবার লাথি মারেন। এতে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার বর্ণনায় সাক্ষী হাফেজ মো. আমিন আদালতকে জানান, ঘটনার সময় তিনি পাশের একটি মসজিদ সংযুক্ত মাদ্রাসায় ছাদে ছিলেন। মসজিদ থেকে তল্লাশিচৌকির দূরত্ব ৩০-৪০ কদম ছিল।
আদালতকে সাক্ষী মো. আমিন বলেছেন, সেদিন রাতে তল্লাশিচৌকির পাশে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে সিনহা মাটিতে (সড়কে) পড়ে ছটফট করছিলেন। প্রাণ বাঁচানোর জন্য পানির জন্য আকুতি জানাচ্ছিলেন। লিয়াকত আলী সিনহার দিকে গিয়ে বুকে লাথি মারেন কয়েকবার। পা দিয়ে মাথাও চেপে ধরেন।
এর কিছুক্ষণ পর টেকনাফের দিক থেকে সাদা মাইক্রোবাস নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান প্রদীপ কুমার দাশ (টেকনাফ থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা)। তখনও সিনহা জীবিত ছিলেন এবং ‘পানি পানি’ করছিলেন। ওসি প্রদীপ তখন লাথি মারেন এবং পা দিয়ে গলা চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
বরখাস্ত ওসি প্রদীপ-লিয়াকতসহ এ মামলার ১৫ আসামীদের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার সকাল সোয়া দশটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলে আদালতের কার্যক্রম।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্য দিয়ে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে করে মামলার ১৫ আসামিকে আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হয়।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার- টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১৫-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম।
-এএ