আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় অভিযোগ ওঠা ই–অরেঞ্জের সঙ্গে সম্পৃক্ত বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাকে ভারত-নেপাল সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফের) সদস্যরা পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার চ্যাংড়াবান্দা সীমান্ত থেকে অনুপ্রবেশের অভিযোগে তাকে আটক করেছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের পরিচালক (অপারেশনস) লে. কর্নেল ফয়জুর রহমান বলেন, ভারত সীমান্তে বিএসএফের হাতে ঢাকার বনানী থানার পরিদর্শক সোহেল আটক হওয়ার কথা তিনি শুনেছেন। হয়তো পরে বিএসএফ বাংলাদেশের পুলিশ কর্মকর্তাকে আটকের কথা পুলিশ সদর দপ্তরকে জানাবে।
পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, গত বৃহস্পতিবার অফিস করেছেন সোহেল রানা। শুক্রবার ও শনিবার তিনি থানায় আসেননি। তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমে থেকে জেনেছেন, তিনি নেপাল-ভারত সীমান্তে বিএসএফর হাতে আটক হয়েছেন। তবে এখনো তা নিশ্চিত হতে পারেননি।
এর আগে এক হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর গুলশান থানায় করা মামলায় ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমান ও চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) আমান উল্ল্যাহকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোনিয়া এসআই সোহেলের বোন
। ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহর আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করেন। এরপর তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ২৩ আগস্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়ার আদালত প্রত্যেকের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। গত ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবুবকর সিদ্দিকের আদালত ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমান আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। পরে বিচারক তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
-এএ